বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজকর্মী স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতাসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন।
সর্বজন শ্রদ্ধা জানাতে ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে। বেলা ১২টায় জানাজা হবে। পরে দুপুরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। পরে ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন।
সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি ১৯৮০ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুডে ভূষিত করে।
এছাড়াও ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অফ সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন। সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় ইয়াডান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।