নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে উত্তাল ভারত। দেশটির উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। তবে, সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৬ জন বলেই দাবি করা হয়েছে। মীরঠে আরও ২ বিক্ষোভকারীর মৃত্য়ু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাচালীন লখনউতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এমনই এক আবহে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে হিংসা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের ওপরে পুলিশের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই দিনের ঘটনায় বিজনোরে ২ জন, ফিরোজাবাদ, কানপুর নগর, মীরঠ এবং সম্বলে ১ জন করে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৯ দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেরঠে মৃতের সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে ৩ হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সারাদিন পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেও থমথমে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা। এর মধ্যে কানপুর, গোরক্ষপুর, দেওবন্দ, মুজাফ্ফরনগর, হাপুর, শামলি, প্রয়াগরাজ, বুলন্দশহর, মেরঠ, ফৈজাবাদ এবং বারাণসীতে উত্তেজনা রয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি সংবেদনশীল এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ১৪৪ ধারা অমান্য করায় আটক হয়েছেন ৩,৩০৫ জন।
এদিকে, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একইসঙ্গে কোনও গুজব বা প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্যও আবেদন জানান তিনি। একইসঙ্গে তাঁর আর্জি, 'কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।'