বিগ স্কোরের ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৬ রানে হারাল চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২২ রান তুলতে সক্ষম হয় কুমিল্লা।
চট্টগ্রামের ভেন্যুতে স্বাগতিকদের ম্যাচ। ছুটির দিন সন্ধ্যায় খেলা থাকায় উপচে পড়েছিল সাগরিকার পাড়। নয়ন জুড়ে উপভোগ করেছেন অনেক রেকর্ডের এক ম্যাচ। আগের পাঁচ ম্যাচে ৪ জয়ে শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
বিপিএলের ১৪ তম ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। 'ডিউ ফ্যক্টর' সুবিধা পেতে আগে বোলিং নেয়াটা হিতে বিপরীত হয় কুমিল্লার। দলীয় ২১ রানে লেন্ডল সিমন্সকে হারায় চ্যালেঞ্জার্সরা। এরপরই শুরু হয় ইমরুল কায়েস ও আভিস্কা ফার্নান্দো শো। উইকেটের চারপাশে উইলোবাজিতে ১০ ওভারে দলীয় স্কোরটাকে তিন অংকে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে সৌম্যের বলে আউট হন আভিস্কা।
আভিস্কার আউটের পর মাঠে নামেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। যেন আরো তেঁতে ওঠে চট্টলার প্রতিনিধিরা। ৪১ বলে ৬২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল।বাজে ফর্ম নিয়ে মাত্র তিন রানে আউট হন নাসির। তখনো চট্টগ্রামের হাতে ৬ ওভার। স্কোর বোর্ডে রান ১৩৯।
এরপর চট্টলাবাসী দেখে চ্যাডউইক শো। নুরুল হাসান সোহানকে সাথে নিয়ে শেষ ২ ওভারে তোলেন ৫৪। শেষ তিন ওভারে ৭২। ২৭ বলে ৭১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন এই জ্যামাইকান ব্যাটসম্যান। তাতে বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রান তোলে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার টার্গেট দাড়ায় ২৩৯ রান।
বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩২ রানে সৌম্য, সাব্বির ও রাজাপাকষের উইকেট হারায় গোমতি পাড়ের দলটি। তবে এই ধাক্কা সামলান আগের ম্যাচের নায়ক দাওয়িদ মালান। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে রান তোলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।তবে ২১ রানে রাব্বি ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৩৭ রানে আউট হলে মালানের সঙ্গে হাল ধরতে পারেননি কেউ। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে তরুন পেসার মেহেদী রানার বলে আউট হন মালান। তখনো টার্গেট লাগাম ছড়েনি।
শেষদিকে আবু হায়দার রনির ১০ বলে ২৮ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে রক্ষা পায়নি কুমিল্লা। ১৬ রানে হারতে হয় চট্টগ্রামের কাছে। তবুও ২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে ২২২ রান তোলার ম্যাচটা দর্শকের স্মৃতিপটে থাকবে অনেকদিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২৩৮/৪ (২০ ওভার)
ইমরুল ৬২, আভিস্কা ৪৮, ওয়ালটন ৭১; সৌম্য ২/৪৪, মুজিব ১/৩১ শানাকা ১/৪৭।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২২২/৭ (২০ ওভার)
মালান ৮৪, শানাকা ৩৭, আবু হায়দার ২৮*; মেহেদী হাসান ৪/২৮, রুবেল ১/৩০।
ফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।