বিপিএলে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ সতীর্থ। তারকা দুই পেসারকে ঘিরে ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্স দেখছিল আশা। কিন্তু তাদের নিষ্প্রভ বোলিং হতাশ করছে সবাইকে। দলও ভাঙতে পারছে না হারের বৃত্ত।জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি, টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা। এমন সময়ে মোস্তাফিজ-তাসকিনদের ফর্মহীনতা ছড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। টাইগার বোলারদের দুঃসময়ে অবশ্য আশা দিলেন সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। বললেন, খারাপ সময় পেছনে ফেলবেন তারা।
জাতীয় দলের আরেকজন, বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিও খেলছেন রংপুরে। দলকে জেতানোর মতো বোলিং করতে পারছেন না কেউই। শুক্রবার খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যান রুশো এই তিন বোলারকে মোকাবেলা করেন সাবলীলতায়। ৩১ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এ বাঁহাতি দলকে জেতান ৮ উইকেটে। রংপুরের দেয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ১২.৩ ওভারে পৌঁছে যায় খুলনা।
৯ চার ২ ছক্কায় সাজানো অসাধারণ ইনিংস খেলা রুশো আসেন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে। রংপুরের হয়ে খেলা বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ে বলেন, ‘টি-টুয়েন্টি সংস্করণে মোমেন্টাম হারিয়ে গেলে সব কঠিন হয়ে যায়। তারা একের পর এক ম্যাচ হারছে। আজকে নিয়ে টানা চারটা হল। ছন্দ হারিয়ে ফেললে গতি ধরে রেখে ভালো বোলিং করা কঠিন। মোস্তাফিজ আজ জোরেই বল করেছে।’
‘কাউকে তো মাঠে দলকে জেতানোর মতো ভূমিকা রাখতে হবে, মোমেন্টাম পরিবর্তন করতে হবে। যাদের ফর্মহীনতার কথা বললেন তারা সবাই অভিজ্ঞ, আমি নিশ্চিত তারা ঘুরে দাঁড়াবে। তারা পেশাদার ক্রিকেটার। আমার মনে হয় আজ তাদের দিন ছিল না, কিন্তু আমি নিশ্চিত তারা ফিরে আসবে।’
বিপিএলে ৪ ম্যাচে মোস্তাফিজ পেয়েছেন ৪ উইকেট। ১৩.২ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১১১ রান। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৮.৩২ হারে। তাসকিনের অবস্থা ভয়াবহ। দুই ম্যাচ খেলে বল পেয়েছেন ৪ ওভার। দিয়েছেন ৫৩ রান। পাননি কোনো উইকেট। প্রথম ম্যাচে এক ওভারে দেন ১৪ রান। শুক্রবার খুলনা বিপক্ষে দেন ৩ ওভারে ৩৯। আরাফাত সানি দিয়েছেন ২.৩ ওভারে ২৮ রান। মিরপুরে প্রথম ম্যাচে দিয়েছিলেন ৩ ওভারে ২৪। নামের পাশে ছিল না কোনো উইকেট।