পাক্ষিক সম্পর্ক ও ক্রিকেট কূটনীতির কথা বিবেচনায় নিয়েই হয়তো পাকিস্তানে দল পাঠাতে রাজি হয়েছে বিসিবি। মনে করেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তবে তার মতে, বিন্দু পরিমান নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে পাকিস্তান সফর করা ঠিক হবে না। এতে প্রভাব পড়তে পারে মাঠের খেলায়। আরেক সাবেক ক্রিকেটার আফতাব আহমেদ বলছেন, কোনো ধরণের উদ্বেগ নিয়ে পাকিস্তান সফর করলে পরিবারসহ সবাই চিন্তায় থাকবে। তাই এই মুহূর্তে পাকিস্তান সফর করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ পাকিস্তান। লঙ্কান অধিনায়কের এমন বক্তব্যে কি মন গলেছে বিসিবি'র? না হলে কেন পাকিস্তান সফর করতে আগ্রহী ক্রিকেট বোর্ড?
পাকিস্তানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করে আসা প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট, বিসিবি প্রকাশা না করলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে স্বল্প সময়ের জন্য দেশটিতে সফরে যেতে পারেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রশ্ন এমন সংশয় নিয়ে কেন পাকিস্তান সফরে যাবে টাইগাররা! বিসিবি'র একটি দল নিয়ে পাকিস্তান ঘুরে এসেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তার মতে দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক ও ক্রিকেট কূটনীতির কথা বিবেচনায় রেখে যাওয়া যেতে পারে পাকিস্তানে। তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো একবার ভাবার কথা বললেন তিনি।
সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, যদি গ্রিন সিগন্যাল পাই তহলে যাওয়া যেতে পারে। কারণ দিন শেষে সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো ভালো অবস্থানে আছি একটা সময় হয়তো খারাপ অবস্থানে থাকবো। তখন হয়তো তাদের ভোটেরও দরকার হবে। বড় উদ্বেগের বিষয়। পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ক্রিকেটারদের লক্ষ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যাওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত ক্রিকেটারদের। পাকিস্তান সফরে ক্রিকেটাররা গেলে চিন্তায় থাকবেন পরিবারও। যা প্রভাব ফেলতে পারে পারফরম্যান্সে। মত সাবেকদের।
সাবেক ক্রিকেটার আফতাব আহমেদ বলেন, নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই ওখানে যাওয়া উচিত হবে না। নিরাপত্তা না থাকলে পরিবারও চিন্তায় থাকবে। নিরাপত্তার ব্যাপারে ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও খেলোয়ারদের উপর প্রভাব ফেলবে। পিসিবি'র দাবি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে সম্মত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিসিবি'র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনোকিছুই জানা যায়নি।