বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে খুলনা টাইগার্স এবং সিলেট থান্ডার। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিং করছে একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা সিলেট।
প্রথম ওভারেই ফিরে যান সিলেটের ওপেনার আব্দুল মজিদ (২)। রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার এবং জনসন চার্লস।
চার্লস মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। সমান বলে হাফ সেঞ্চুরি পান ফ্লেচারও। এই দুজনের তাণ্ডবে নবম ওভারের প্রথম বলে দলীয় শতকের দেখা মিলে সিলেটের। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে শত রানের জুটিও গড়েন দুজন।
বোলারদের শাসাতে থাকেন তারা। তাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা। বোলার সেট করতেই হিমশিম খায় তারা। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান চার্লস। মনে হচ্ছিল সেটা সময়ের ব্যাপার। তবে তাতে বাদ সাধেন শহিদুল ইসলাম।
দুর্দান্ত স্লোয়ার ডেলিভেরিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ৩৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এ ক্যারিবিয়ান। এরপর হুট করে ফ্রাইলিংকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ঝড় তুলে ফিরে যান চার্লস। তবে থেকে যান ফ্লেচার। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। তাকে সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান ফ্লেচার। তবে আচমকা থেমে যান মোসাদ্দেক। রবিউল হকের বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মোসাদ্দেক হোসেনের সিলেট থান্ডার।
এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচ খেলে সবক'টিতে জিতেছে মুশফিকের খুলনা। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে দলটি। সেখানে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি মোসাদ্দেকের সিলেট। হারের বৃত্ত থেকে বের হতে চায় তারা। এজন্য এ ম্যাচে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে দলটি।
সিলেট থান্ডার একাদশ: আন্দ্রে ফ্লেচার, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), জনসন চার্লস, মোসাদ্দেক হোসেন (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন মিলন, ক্রিসমার সান্তোকি, মনির হোসেন, এবাদত হোসেন, সোহাগ গাজী ও নাভিন উল হক।
খুলনা টাইগার্স একাদশ: সাইফ হাসান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শামসুর রহমান শুভ, রবি ফ্রাইলিংক, মেহেদী হাসান মিরাজ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলাম ও রবিউল হক।