দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল এক শীর্ষ নেতার। বৈঠকের পর বাইরে বেড়িয়ে এসেই স্ত্রীকে চড় মেরে বসলেন ওই শীর্ষ নেতা। আর স্ত্রীও যেনতেন কেউ নন। তিনি দক্ষিণ দিল্লির প্রাক্তন মেয়র সারিতা চৌধুরী।
আর এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন একজন। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির হওয়ার পরেই কমিটি তৈরি করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ বাজপেয়ী।
পাশাপাশি ওই শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করে দেয়া হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা।
তার দাবি, স্ত্রী প্রথমে তাকে হেনস্তা করছিল তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি হালকা ধাক্কা দিয়েছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই কোনো তদন্ত শুরু করেনি পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দিল্লির মেহরাউলি জেলার বিজেপির কার্যকরী সভাপতি আজাদ সিং। ২০১৯ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা প্রকাশ জাভড়েকর নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় একটি বৈঠক ডেকেছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে স্ত্রী ও দক্ষিণ দিল্লির প্রাক্তন মেয়র সারিতা চৌধুরীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন আজাদ সিং। আর সে সময় স্ত্রীকে চড় মারেন তিনি।
ওই সময়ে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মানুষ পাঁচিল ঘেরা জায়গায় একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আচমকা এক মহিলার সঙ্গে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। এরপর দেখা যাচ্ছে ওই মহিলাটিকে আশপাশে থাকা মানুষরা দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ভিডিও পোস্টকারীর দাবি, ওই ব্যক্তিটি আজাদ সিং ও তার সঙ্গে বচসাকারী মহিলা তার স্ত্রী সারিতা সিং।
দিল্লির কয়েকজন বিজেপি নেতার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গণ্ডগোল চলছিল আজাদ-সারিতা দম্পতির মধ্যে। তারা একসঙ্গেও থাকছিলেন না। কিছুদিন আগে আজাদ সিং বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করেছেন।