Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শনিবার, মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মুশফিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৩ PM
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল সিলেট থান্ডার। ৪ ম্যাচ খেলে প্রত্যেকটিতেই হেরেছিল তারা। অবশেষে জয় পেতে যাচ্ছে চায়ের দেশ। এরই মধ্যে খুলনা টাইগার্সের ১৪৭ রানের মধ্যে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছে তারা।

 

পাহাড়সম জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সূচনালগ্নেই উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। স্কোর বোর্ডে ১ রান উঠতেই মনির হোসেনের বলে ফেরত আসেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ওয়ানডাউনে নেমে সাইফ হাসানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন রাইলি রুশো। পরে রীতিমতো রূদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে পান যথার্থ সমর্থন। তাতে হু হু করে বাড়ে দলীয় রান।

কিন্তু হঠাৎ থেমে যান সাইফ। রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। পথিমধ্যে সিলেট বোলারদের ওপর তোপ দাগিয়ে আসরে নিজের ফিফটি তুলে নেন রুশো। তবে এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। নাভিন উল হকের বলে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ৩২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন আফ্রিকান রিক্রুট।

সাইফ-রুশো জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই চাপে পড়ে খুলনা। এ অবস্থায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি শামসুর রহমান। মনিরের বলে ফিনিশ হন তিনি। সেই জের না কাটতেই এবাদত হোসেনের বলে সাজঘরের পথ ধরেন ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম। মূলত এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে এর আগে বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর খাতায় নাম লেখান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ১২ রান করার সুবাদে তামিম ইকবালকে টপকে যান তিনি।

বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে মুশফিকের সংগ্রহ ১২ ফিফটিতে ১৯৩৬ রান। অবশ্য মাত্র ১ রান পিছিয়ে তামিম। তার সংগ্রহ ১৯৩৫ রান। অবশ্য ফিফটিতে এগিয়ে তিনি। ড্যাশিং ওপেনারের হাফসেঞ্চুরি ১৭টি।

শনিবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট থান্ডার। ভূমিকাতেই রবি ফ্রাইলিংকের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন আব্দুল মজিদ। পরে জনসন চার্লসকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন আন্দ্রে ফ্লেচার। একপর্যায়ে দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে যান। রীতিমতো চোখ রাঙান তারা। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে খুলনা টাইগার্স বোলারদের কচুকাটা করেন উভয়ই।

পথিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার-চার্লস। এরপর আরো শাসাতে থাকেন তারা। তাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা। বোলার সেট করতেই হিমশিম খায় তারা। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান চার্লস। মনে হচ্ছিল সেটা সময়ের ব্যাপার। তবে তাতে বাদ সাধেন শহিদুল ইসলাম।

দুর্দান্ত স্লোয়ার ডেলিভেরিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ৩৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এ ক্যারিবিয়ান। এরপর হুট করে ফ্রাইলিংকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ঝড় তুলে ফিরে যান চার্লস। তবে থেকে যান ফ্লেচার। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। তাকে সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান ফ্লেচার। তবে আচমকা থেমে যান মোসাদ্দেক। রবিউল হকের বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।

খানিক পরেই কাঙ্ক্ষিত ৩ অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ফ্লেচার। সেই রেশ না কাটতেই শফিউল ইসলামের শিকার হন নাজমুল হোসেন মিলন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। এবারের আসরে এটি দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ রান। প্রথমটি ২৩৮ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। সবমিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ।

৫৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফ্লেচার। এবারের টুর্নামেন্টে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে ১৪তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। খুলনার হয়ে রবি ফ্রাইলিংক নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।

Bootstrap Image Preview