মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সিনেটে যা-ই ঘটুক না কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসিত হতেই হবে।’
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানায়, সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেখানে অব্যাহতি লাভের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন। যদিও হাউজ স্পিকারের দাবি, প্রেসিডেন্ট যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এ যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার কথা ভাবছেন, এবার তা ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
এ দিকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ট্রাম্পকে আদৌ অপসারণ করা হবে কি না, সে প্রসঙ্গে আগামী জানুয়ারিতে মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। আর সেখানেই তার চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
অপর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন স্পিকার। তিনি লেখেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আপনাকে আমরা ওই ভাষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আশা করব, আপনি যথাযথভাবে বিষয়টি মূল্যায়ন করবেন। এ জন্য আপনাকে আগাম ধন্যবাদ।’
বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রধান দুটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই অভিশংসনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পড়েছে। এবার প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে ভোট পড়েছে ২৩০টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৭টি।
দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ২১৬ ভোটের বেশি সংখ্যক ভোট অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হওয়ায় এবার উচ্চকক্ষ সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারকাজ সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে সিনেট যেহেতু রিপাবলিকানের নিয়ন্ত্রণে তাই সেখানে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।