ধর্মীয় কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন করায় মিয়ানমারকে ফের উদ্বেগজনক দেশের তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানায়। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্য ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠীগুলোর মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ী মিয়ানমারের চার সামরিক নেতার ওপর এ মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্টের’ আওতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলেই ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে বৈষম্য ও নিপীড়ন হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসার ও নিপীড়ন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সাম্প্রতিক এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজের অংশ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরো জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের আওতায় ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কারণে ‘বিদেশে উদ্বেগজনক রাষ্ট্র’ হিসেবে ফের তালিকাভুক্ত করেছে মিয়ানমার ছাড়াও চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানকে। ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষ উদ্বেগজনক গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে আল-নুসরা ফ্রন্ট, আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা, আল-কায়েদা, আল-শাবাব, বোকো হারাম, হুতি, আইএসআইএস, আইএসআইএস-খোরাসান ও তালিবানকে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওই তালিকাভুক্তি ধর্মীয় স্বাধীনতা বা বিশ্বাসীদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। এর আগেও ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় মিয়ানমারের নাম এসেছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বড় মাত্রায় নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমার বাহিনী। এরপর প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়