ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষের পর্যায়ে থাকলেও শীঘ্রই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই তালিকা প্রকাশ করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হবে ৩১ জানুয়ারির পরে। এবার আমরা আইন সংশোধন করে মার্চের ১ তারিখে নিয়ে যাব।
ভোটার তালিকা আইনে অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি-আপত্তি নিয়ে তা নিষ্পত্তির পর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হালনাগাদ করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি ভোটার তালিকা এভাবে হালনাগাদ করা না হয় তাহলে এর বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হবে না। আইন অনুযায়ী, হালনাগাদ শেষে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ইসি।
নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করতে হবে সংস্থাটিকে।
আইন সংশোধন করে কর্মপন্থায় ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি দাবি, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি দাবি নিষ্পত্তি, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি সিডি প্রস্তুত আর ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার বিধান করতে চাচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আইন পরিবর্তনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। যা করার ২ জানুয়ারির আগেই করতে হবে। এজন্য সময় আছে মাত্র ১১ দিন।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকার করার আইন নেই। তাই আইন সংশোধনের প্রয়োজন। যেহেতু সময় কম, তাই অধ্যাদেশ করা হতে পারে।
গত ২৩ এপ্রিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ। এক্ষেত্রে ৯০ লাখ ৬০ হাজার নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। এক্ষেত্রে চার বছরের তথ্য একসঙ্গেই নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যার যখন ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হবে, তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার রয়েছেন।