বিপিএলে ব্যাটসম্যানদের ভিড়ে আলাদাভাবে নজর কারাটা চ্যালেঞ্জিং। সে কঠিন কাজটাই করে দেখাতে চান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার মেহেদী হাসান রানা। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ভালো কিছু উপহার দিতে চান ২২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলে খেলার। সুযোগ পেলে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই আলো ছড়াতে চান রানা।
বিপিএলের গেল দুই আসরে খেলেছেন সিলেট সিক্সার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। তিন বছর আগে যুব বিশ্বকাপে প্রথম আলোচনায় আসেন চাদপুরের এ পেসার। তবে বিশ্বকাপের পর, তার ক্যারিয়ারে ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় ইনজুরি। হারিয়ে যেতেই বসেছিলেন।
কিন্তু ক্রিকেট যার নেশা। তারতো ভুলে গেলে চলবে না। রানাও আবার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর অনুশীলন নিয়ে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন। এ বছরের মাঝামাঝি সময় নেটে বোলিং করেন রানা। তা নজরে আসে সাবেক কোচ ল্যাঙ্গেভেল্টের। ফলে সুযোগ আসে নেপালে এসএ গেমসে খেলার। দল ক্রিকেটে স্বর্ণ জিতলেও, ভাগ্য খারাপ রানার। ঘরের মাঠে বিপিএলের ড্রাফটে তাকে দলে নেয়নি কোনো ফ্যাঞ্চাইজি।
শুরুতে দল না পেলেও পরে তাকে সুযোগ দেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন রানা। বাঘা বাঘা সব পেসারদের টেক্কা দিয়ে রানাই এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৫ ম্যাচে তার উইকেট ১৩টি। রানার ছুটে চলার সঙ্গে উড়ছে চট্টগ্রামও। পয়েন্ট টেবিলের রাজত্বও তাদের দখলে। প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে ১ উইকেট। পরের ম্যাচেই ২৩ রান দিয়ে চার। আসরে রানার ইকোনমিও দারুণ।
স্বল্পভাষী রানা জানালেন, সুযোগের আশায় মরিয়া ছিলেন। তা আসায় কাজে লাগিয়েছেন।
ক্ষুদ্র সংস্করণে সব সময়ই সুযোগ থাকে ব্যাসম্যানদের। সেখানে ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন রানা। বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবেই নিয়েছেন তিনি। টি টোয়েন্টি পছন্দের ফরম্যাট হলেও তিন ফরম্যাটেই ভাল খেলতে চান ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।