পাকিস্তানে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চায় বাংলাদেশ। তবে সেখানে টেস্ট খেলতে চায় না তারা। এতে রাগ, ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পাক প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল হক। টাইগারদের এ সিদ্ধান্তের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী,আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এবং ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে সফর করার কথা বাংলাদেশের। এজন্য সন্ত্রাস কবলিত দেশটিতে মাস খানেকের বেশি সময় থাকতে হবে টাইগারদের। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে সেখানে লম্বা সময় অবস্থান করতে চাই না তারা।
এরই মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) সেই অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। সেখানে গিয়ে কেবল একটি ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি খেলতে চাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলতে চায় তারা।
তবে বাংলাদেশের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। টাইগারদের সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ওপর রীতিমতো ক্ষেপে গেছেন তাদের প্রধান কোচ মিসবাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজি না হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না আমি। তারা টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে,কিন্তু টেস্ট খেলবে না, এ আবার কেমন কথা। পাকিস্তানের প্রতি এটা অবিচার। আমার মনে হচ্ছে, একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করেছে ওরা। যদি তেমনটা হয়, তা হলে আমাদের প্রতি বড় অন্যায় হবে। কারণ, এখন এখানে এসে কোনো সমস্যা ছাড়াই নির্বিঘ্নে খেলে যাচ্ছে দলগুলো।
সম্প্রতি পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট খেলেছে শ্রীলংকা পূর্ণাঙ্গ দল। এর আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টির জন্য দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল তারা। কোনো দলই দেশটিতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেনি। তবে আসন্ন সিরিজ দুটি খেলতে হলে সেখানে বাংলাদেশকে লম্বা সময় থাকতে হবে। নিরাপত্তা সংকট তৈরির পর যা কোনো দলই করেনি।
বাংলাদেশের আপত্তি এখানেই। বিসিবি পরিষ্কার জানিয়েছে,পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের লম্বা সময় না থাকার পরামর্শ দিয়েছে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সফর করে এসেছে তারা।
শ্রীলংকার বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট সিরিজ হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। মাঠ ও হোটেলের বাইরে ক্রিকেটারদের চলাচলে সীমাবদ্ধতা ছিল।অবাধে গ্যালারিতে দর্শক প্রবেশ করতে দেননি আয়োজকরা। কেবল বাছাই করা দর্শকরা ঢুকতে পারেন। এমন দমবন্ধ পরিস্থিতিতে সেখানে লম্বা সময় থাকতে অসম্মত বাংলাদেশ।
নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পাকিস্তান খেলতে রাজি না হলে টেস্ট সিরিজই বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে ২০২০ সালের গ্রীষ্মের আগে টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে না তারা। এত লম্বা বিরতিতে ক্রিকেটারদের ফর্ম নিয়ে শংকায় পড়েছেন মিসবাহ।তার মতে,‘অনেক দিন পর হুট করে লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে নামলে পারফর্ম করা যায় না।