২৯ বল খেলে সাত ছক্কা ও দুই চার হাঁকিয়ে ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ঢাকা প্লাটুনের অফ-স্পিনার নামে খ্যাত মেহেদী হাসান।
তাঁর এই ব্যাটিং তাণ্ডবে নিজেদের তৃতীয় জয় থেকে ছিটকে গিয়েছে কুমিল্লা ওয়রিওরস।এই দিন ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য করে বিদায় নেন প্লাটুনের ওপেনিং ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
এরপর ব্যাটিং বিপর্যয় থামাতে ঢাকার কোচ সালাউদ্দিন মেহেদীকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। কিন্তু সবার অজানা ছিল মেহেদীর ব্যাটিং সম্পর্কে। যদিও মেহেদী চলতি বিপিএলে ঢাকা পর্বে একই পজিশনে ব্যাটিং করেছিলেন সেই ম্যাচে ১২ রান করেন তিনি।
চট্টগ্রামেও একই পজিশনে ব্যাটিং করতে নেমে যেন তাণ্ডব চালাতে থাকেন। তার ব্যাটিংয়ের সামনে যেন অসহায় হয়ে পড়ে সৌম্যরা।
দারুণ এই পারম্যান্সের পর ম্যাচ জয়ের সাথে হয়েছেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়। তাই খেলা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় এই পজিশনে ব্যাটিং করার কারণ। এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী বলেন, প্রথমত দেখেন আমি বিপিএল খেলছি চার বছর ধরে। আমার একটু অভিজ্ঞতা আছে। সবসময় একিরকম যাবে না এই উইকেটে। এই উইকেট বেশি ভালো ছিল। বোলারদের জন্য এটা খুব চ্যলেঞ্জিং। ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে খুব চ্যালেঞ্জ করে বোলিং করতে হয়। ভাগ্যবশত আমি দুটো উইকেট পেয়ে গেছি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এক্ষেত্রে আমি হয়তো সফল হয়েছি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।
কারণ আমি আগেও বলেছি। মুজিব ছিল তো, মুজিবকে খেলা একটু মুশকিল। এজন্য, আমার উইকেট ছিল ভ্যালুলেস (মূল্যহীন)। আমার উইকেট ধরে না এ জন্য মুজিবকে হ্যান্ডেল করার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে। আমি অফ স্পিনার পেয়ে গেছি, সুযোগ নিয়েছি আর আমি সফল হয়ে গিয়েছি।
না না, এটা আমার জন্মগতই। আমি খেললে এরকমই খেলি। আমার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দেখেন। ঘরোয়া ম্যাচ দেখেন, আমি খুব পিটাইতে পারি, বিপিএল একটু ভিন্নরকম জায়গা। এই জায়গায় সুযোগ আমি ওভাবে পাই না সত্যি বলতে। আপনি দেখবেন মার ইনিংসগুলো, আমি সবসময় একই জায়গায় ব্যাটিং করতে পারি না। কখনো ১০ নম্বর, কখনো ৯ নম্বর, সেই ক্ষেত্রে শেষের দিকে আমার জন্ন খুব কঠিন। যখন স্লগের বোলাররা থাকেম ইয়র্কার করে, বাউন্সার করে, তো আমার জন্য শক্তিটা, তখন একটু কঠিন হয়ে যায়। নতুন বলের জন্য আমি ঠিক আছি। পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পারি, কোচেরও সেই পরিকল্পনাটা ছিল আরকি।