সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্টের শিকার হয়েছেন। এদিকে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানদের মধ্যে তীব্র মতানৈক্যের জেরে ক্রিসমাসের আগে সিনেটে শুরু করা যাচ্ছে না ইমপিচমেন্টের শুনানি। ইমপিচমেন্ট নিয়ে সিনেটে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা গেছে, ডেমোক্র্যাটরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে, ইমপিচমেন্ট নিয়ে আলোচনার শর্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা সিনেটে প্রস্তাব পাঠাবে না। এদিকে, এই শর্তাবলী নিয়েই বেধেছে যাবতীয় টানাপোড়েন। বিরোধীরা চায়, যে সাক্ষীদের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ডাকার অনুমতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেননি, তাঁদের যেন সিনেটের শুনানিতে ডাকা হয়।
এই সাক্ষীদের অধিকাংশই প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কর্মকর্তা। হাউসের তদন্ত কমিটি এঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকেছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে তারা কাউকে এই শুনানিতে পাঠাবে না। এই সাক্ষীদের ডাকার জন্য রিপাবলিকানদের অধীনে থাকা সিনেটের উপর চাপ তৈরি করছে ডেমোক্র্যাটরা। এ নিয়ে সেনেটের নেতা মিচ ম্যাকনেলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
রিপাবলিকানরা অবশ্য এত সহজে এই দাবি মেনে নেবেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দু'পক্ষের টানাপোড়েনের জেরে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে সেনেটের শুনানি।
এদিকে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন অস্ত্র এসেছে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। প্রকাশ্যে আসা কিছু ইমেল থেকে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনের বিশেষ অনুদান বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। বিরোধীদের দাবি, এ থেকেই পরিষ্কার তদন্ত নিয়ে কিভের উপর চাপ তৈরি করতেই অনুদানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, এক হুইসলব্লোয়ারের অভিযোগের সূত্র ধরে প্রথম যখন বিতর্কটি প্রকাশ্যে আসে তখন এই অভিযোগও উঠেছিল। এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে বলা হয়েছিল, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু না করলে সামরিক অনুদানের বাকি টাকা ইউক্রেন পাবে না।