Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চলনবিলে নির্বিচারে চলছে অতিথি পাখি শিকার!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৪৮ AM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৪৮ AM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ ইত্তেফাক


শীতকাল এলেই রঙ-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে ভরে ওঠে গোটা চলনবিল। তবে একশ্রেণির অসাধু চক্র অর্থের লোভে নির্মমভাবে শিকার করছে এসব অতিথি পাখি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বলে প্রতিবছর এই মৌসুমে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।

চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠ, নদী, পুকুর, খাল, ডোবা, নালায় উড়ে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখির ঝাঁক। পাখির চঞ্চল উড়াউড়ি ও তাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত বেশিরভাগ এলাকা। এসব পাখির মধ্যে রাত চরা, বালিহাঁস, শামুকখোল, নীলশির, লালশির, বড় সরালী, ছোট সরালী, সাদা বক, ধূসর বক, গো বক, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কাদা খোঁচা, মাছরাঙ্গা ও সারস উল্লেখযোগ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পাখি শিকারি জানান, চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময় জলাশয়গুলোতে পুঁটি, খলসে, দারকিনাসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ ও কীট-পতঙ্গ পাওয়া যায়। খাবারের লোভে প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঝাঁকে-ঝাঁকে অতিথি পাখি চলনবিল এলাকায় আসে। তাদের মতো অনেকেই রাতের অন্ধকারে রাত চোরা, কাদা খোঁচা, বালিহাঁসসহ নানা প্রকার অতিথি পাখি শিকার করছেন। কেউবা দিনের বেলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে সারি সারি ফাঁদ পেতে বিভিন্ন প্রজাতির বক পাখি শিকার করছেন। এসব পাখি শিকারের ক্ষেত্রে তেমন বিধি-নিষেধ নেই বলে তারা মনে করেন। আর মানুষের কাছে পাখির মাংস এতই লোভনীয় যে বেশিরভাগ পাখি হাট-বাজার পাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে চলনবিল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতিথি পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে তাড়াশ, চাটমোহর, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে-মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

Bootstrap Image Preview