মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ানডে বোলিংয়ে শেষ হতে চলা বছরে উইকেট সংগ্রাহকের শীর্ষ পাঁচে আছে। তবে ব্যাটিংয়ে সেরা পনেরোতেও নেই কোনো বাংলাদেশি। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি এ বছরের শীর্ষ রান সংগ্রাহকের এক-দুইয়ে।
ওয়ানডেতে এ বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ২৮ ম্যাচে ১৪৯০ রান তার নামের পাশে। ৫৭.৩০ গড়ে প্রায় ৯০ স্ট্রাইকরেটে রান তুলেছেন ভারত সহ-অধিনায়ক। ৭ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটির সঙ্গে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৫৯ রানের।
দুইয়ে তার স্বদেশী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৮ ম্যাচে ১৩৭৭ রান ভারত দলপতির, তুলেছেন ৫৯.৮৬ গড়ে। যাতে আছে ৫ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৭ ফিফটি। তিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ। ৪ শতক ও ৮ অর্ধশতকে ২৮ ম্যাচে ৬১.১৩ গড়ে ১৩৪৫ রান জমিয়েছেন এ ক্যারিবিয়ান।
শীর্ষ পাঁচের বাকি দুজন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ ও পাকিস্তানের বাবর আজম। চারে অজি ওয়ানডে দলপতি ফিঞ্চ ২৩ ম্যাচে ১১৪১ রান নিয়ে। পাঁচে বাবর ২০ ম্যাচে ১০৯২ রানে।
ওয়ানডেতে এবছর হাজার রানের দেখা পেয়েছেন আরও একজন। উসমান খাজা। অজি তারকা ২২ ম্যাচে ১০৮৫ রান তুলেছেন।
শীর্ষ দশের বাকিরা যথাক্রমে- নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২০ ম্যাচে ৯৪৮ রান, তার স্বদেশী রস টেলর ২১ ম্যাচে ৯৪৩ রান, ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট ২২ ম্যাচে ৯১০ রান, পাকিস্তানের ইমাম-উল হক ২১ ম্যাচে ৯০৪ রান।
শেষ হতে চলা বছরে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আছেন তালিকার ১৬ নম্বরে। ১৮ ম্যাচে ৫০.২৬ গড়ে ৭৫৮ রান এনে। এক সেঞ্চুরির সাথে ৫ ফিফটি তার, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০২ রান।
একধাপ পরে ১৮ নম্বরে অবস্থান দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়া সাকিব আল হাসান। ১১ ম্যাচে ৭৪৬ রান তার। ২ সেঞ্চুরির সাথে ৭ ফিফটি, ৯৩.২৫ গড়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১২৪ রানের।
সেরা পঞ্চাশে আছেন সৌম্য সরকার। তালিকার ৪০তম স্থানে এ বাঁহাতি, ১৭ ম্যাচে ৫০৬ রান তুলে। ২৯.৭৬ গড়ে কোনো সেঞ্চুরি নেই, ফিফটি ৪টি। তামিম ইকবাল তার ৮ ধাপ পরে, ১৮ ম্যাচে ৪৪২ রান। গড় তার নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান ২৪.৫৫! তিন অর্ধশতক থাকলেও নেই কোনো তিনঅঙ্কের ফলক।