নিউ ইয়র্কের স্টেট মিউজিয়ামের সদস্য ক্রিস্টোফার বেরি কায়রোর বিশাল গহ্বরের মধ্যে গাছের শিকড়ের ছাপ দেখতে পান। প্রথমে আন্দাজ করতে পারেননি। গল্পের ছলে বন্ধুবান্ধবের কাছে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। এরপর তত্পরতা তুঙ্গে ওঠে। মাটি পরীক্ষা করেন বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের গবেষকরা। এরপর জানা যায়, ওই শিকড়ের ছাপ ৩৮ কোটি ৫০ লাখ বছরের পুরনো জঙ্গলের; যা ছিল কায়রোতে।
এর আগে নিউ ইয়র্কের গিলবোয়ায় খোঁজ মেলা জীবাশ্ম থেকে বিজ্ঞানীরা জেনেছিলেন সেটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম অরণ্য। আনুমানিক ২০ কোটি বছরের পুরনো ছিল গিলবোয়ার অরণ্য। কিন্তু এবার কায়রোর এই জীবাশ্ম নতুন দিগন্ত খুলে দিল।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এই অরণ্য ধ্বংসের। তাদের বক্তব্য, সেই সময় সবুজের আধিক্য বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিল। তাতে ঠাণ্ডা বেড়েছিল চড়চড় করে। সে কারণেই বিলুপ্ত হয় এ অরণ্য।
আজকের প্রেক্ষাপটে এ ভাষ্য একেবারে বিপরীত। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এখন কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এমনভাবে বাড়ছে বা উষ্ণায়ন হচ্ছে, যার ফলে সবুজ ধংসের মুখে পড়ছে।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, ডাইনোসররা আসার ১৪ কোটি বছর আগে এই অরণ্য। কিন্তু গাছের চরিত্র অনেক আলাদা বলে দাবি তাঁদের। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গিলবোয়ার অরণ্যের গাছের সঙ্গে কায়রোর এই অরণ্যের গাছের মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে। যা থেকে সেই সময়কার প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি হয়। সূত্র : দ্য ওয়াল।