টানা দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্য, ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ঢাকা প্লাটুনের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান একাই! আসল কাজটা বোলিং হলেও ২০০ স্ট্রাইকরেটে টানা দুই ফিফটিতে জ্বালিয়েছেন সম্ভাবনার নতুন আলো। দলও পেয়েছে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দুই ম্যাচে জয়।
বোলিংয়ে আগেও নজর কেড়েছেন মেহেদী। যদিও ব্যাট হাতে তার আগ্রাসনই এবার তাকে নিয়ে এসেছে আলোচনায়।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পরপর দুইদিন বলে-ব্যাটে ঢাকার জয়ের নায়ক মেহেদী। সোমবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে শুরুতেই তুলে নেন উইকেট। পরে তিন নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। করেন ২৯ বলে ৫৯ রান।
সেই ঝড় মঙ্গলবারও দেখা গেল। এবার ২৮ বলে ৫৬। আগের ম্যাচে সাত ছক্কা, সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ছয় মারলেন তিনটি। তার আগে বোলিংয়ে প্রথম বলেই তুলে নেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফ্লেচারের উইকেট।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মেহেদী মেলে ধরছেন দক্ষতা। কুমিল্লার স্পিনার মুজিবকে সামলাতে তিনে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল নিচের সারির এ ব্যাটসম্যানকে। সিলেট ম্যাচেও তিনে নামানো হয় আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে। দুই ম্যাচেই ভালো করায় মেহেদীর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে টপঅর্ডারে দায়িত্ব নেয়ার।
‘আজকে কাউকে ফেস করার জন্য আমাকে পাঠায়নি। কালকে ভালো খেলায় আজকে এ পজিশনটা পাওয়া গিয়েছে।’
‘বিপিএলে যেসব দলে খেলেছি ব্যাটিং লাইনে অনেক বড় তারকা ছিল দেশি-বিদেশি মিলিয়ে। আমাদের দলে কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে। তাই আমাকে পাঠানো (তিন নম্বরে) হয়েছে, আমি সাফল্য পেয়ে গেছি, সামনে হয়তো এর থেকে ভালো কিছু করতে পারব। এখন মনে হচ্ছে টপঅর্ডারে দায়িত্ব নিতে পারব।’
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানই ছিলেন মেহেদী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আছে ৫টি সেঞ্চুরি, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে একটি। কিন্তু বল হাতে ভালো করতে থাকায় নিচে নামতে থাকে ব্যাটিং পজিশন।
‘যখন শুরু করি প্রথম শ্রেণি কিংবা লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট, তখন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানই ছিলাম। সেক্ষেত্রে খেলতে খেলতে পরে বোলার হয়ে যাওয়ায় আমাকে সব জায়গায় খেলানো হচ্ছে।’
জাতীয় লিগ কিংবা প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে বিপিএলের পার্থক্য অনেক। দেশি-বিদেশি তারকাদের মঞ্চে টপঅর্ডারে টিকে থাকা কঠিনই। টানা দুটি অসাধারণ ইনিংস বদলে দিয়েছে প্রেক্ষাপট। মেহেদীও ব্যাটিং নিয়ে ভাবছেন নতুন করে।