Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুযোগ বাড়ানোর আকুতি দেশিদের কণ্ঠে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:২৭ PM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:২৭ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রতি আসরেই শোনা যায়, একটি অভিযোগ- বিদেশিদের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে ঠিক সেভাবে সুযোগ দেয়া হয় না দেশি ক্রিকেটারদের। যা পুরোপুরি সত্যিই বলা যায়। কেননা প্রায় প্রতি আসরেই বেশিরভাগ দলে ব্যাটিং লাইনআপে শুরুর দিকে থাকেন দুইজন বিদেশি, আবার বোলিংয়েও বেশি নির্ভর করা হয় বিদেশিদের ওপর।

যার ফলে বিশ ওভারের খেলায় পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না দেশি ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে প্রতি আসরেই কথা বলেন কেউ না কেউ। ব্যতিক্রম নয় এবারও। শুধুমাত্র ঢাকা প্লাটুনব্যতীত প্রায় সব দলেই ওপরের দিকে দেখা যায় বিদেশিদের সারি। ইনিংসের বেশিরভাগ বলই খেলে থাকেন তারা।

এ কারণে দেশি ব্যাটসম্যানরা খেলার সুযোগ পান শেষদিকের অল্প কিছু বল। যেখানে চাহিদা থাকে মারকুটে ব্যাটিং করে দলকে ভালো একটা ফিনিশিং এনে দেয়া। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কারোরই সেই সামর্থ্য নেই যে ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করতে পারবেন। সবাই আগে কয়েকবল খেলে উইকেটে সেট হয়ে তারপরেই খেলতে পারেন হাত খুলে।

তাই ওপরের দিকে তথা বেশি বল খেলার সুযোগের আকুতি প্রায়ই শোনা যায় স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের কণ্ঠে। আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে আবারও সে কথা বললেন সিলেট থান্ডারের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। সোমবার একই সুর শোনা গেছে মেহেদি হাসানের কণ্ঠেও।

চলতি বিপিএলে বেশ ভালো ফর্মেই রয়েছেন মিঠুন। আসরের প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, আজ খেলেছেন ৩১ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। সিলেট জয় পাচ্ছে না বলে, সেভাবে মূল্যায়িত হয় না তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স। অথচ এখনও পর্যন্ত ৪৪.৭৫ গড়ে আসরের অষ্টম সর্বোচ্চ ১৭৯ রান করেছেন মিঠুন।

তবে মিঠুনের চেয়েও বেশি রান করেছেন সিলেটের ক্যারিবীয় টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। পরপর দুই ম্যাচে ৯০ ও ৭৩ রানের ইনিংস খেলা চার্লসের মোট সংগ্রহ ২৩৫। মিঠুনের দাবি বিদেশিদের মতো দেশিরাও যদি বেশি বেশি খেলার সুযোগ পায়, তাহলে তারা রান করতে পারবেন আরও বেশি।

ঢাকা প্লাটুনের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তাদের দলের বিদেশিদের বেশি সুযোগ দেয়ার বিষয়ে মিঠুন বলেন, ‘এটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার, সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের। যে বিদেশি ব্যাটসম্যানদের (জনসন চার্লস, আন্দ্রে ফ্লেচার) কথা বললেন, দুজনই তিনের মধ্যে খেলছে। এটা তো ২০ ওভারের খেলা। পারফর্ম করতে হলে যথেষ্ট সুযোগ পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, যথেষ্ট ওভার পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি বেশি ওভার খেলি, রান করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’

এসময় ঢাকার দেশি খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ পাওয়ার উদাহরণ টেনে মিঠুন বলেন, ‘দেখুন, ঢাকার স্থানীয়রা রান করছে। কেন করছে? কারণ তাদের ওপরের সবগুলো ব্যাটসম্যান হচ্ছে দেশি। আর এমন না যে আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান নেই, ভালো করতে পারবে না। অবশ্যই ওপরে যদি যথেষ্ট সুযোগ পায়, যথেষ্ট ওভার পায়, আমাদের ব্যাটসম্যানরাও ভালো করবে।’

মিঠুন ঢাকার উদাহরণ টানলেও, সে দলের অবস্থাও যে আসলে সিলেট তথা বিপিএলের অন্যান্যদের মতোই- সেটি বলে যান দলটির স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। পরপর দুই ম্যাচে তিন নম্বরে নামার সুযোগ পেয়ে, ম্যাচ জেতানো ফিফটি করেছেন মেহেদি। অথচ তিনি জানেন, ইনজুরি সমস্যা না থাকলে হয়তো ওপরের দিকে ব্যাটিং করার সুযোগই পেতেন না।

টানা দ্বিতীয় ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতার সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদি বলেন, ‘আমাদের দলের ইনজুরির কারণে ব্যাটিং অর্ডার এমন হচ্ছে। সবাই ফিট থাকলে মনে হয় না এমন কিছু হতো। সব সময় সব দলে টপ অর্ডারে একজন দুইজন বিদেশি থাকে। আমাদের দলে নাই, সে জন্য আমার সুযোগ হয়েছে।’

Bootstrap Image Preview