বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, টুইন টাওয়ারে হামলা, জলবায়ু পরিবর্তন-এসব বিষয়ে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বুলগেরিয়ার আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন নারী বাবা ভাঙা। বুলগেরিয়ায় জন্ম নেওয়া বাবা ভাঙা তার জীবনে যত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার ৮৫ শতাংশই মিলে গেছে৷
১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। কথিত আছে, রহস্যময় এক ঝড় তরুণী বাবা ভাঙাকে উড়িয়ে নিয়ে এক মাঠে ফেলে দেয়। বেশ কদিন পর পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে পায়। কিন্তু বালু আর ময়লার কারণে ব্যথায় তিনি চোখ খুলতে পারছিলেন না। পরে অন্ধ হয়ে যান তিনি।
এদিকে, সামনে আসছে নতুন দশক। আর সেই ২০২০ সালের জন্যও একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন তিনি। তার মতে পৃথিবী টিকে থাকবে ৫০৭৯ সাল পর্যন্ত। এরপরই সব শেষ। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জীবন বিপজ্জনক হয়ে পড়তে পারে এই নতুন দশকে। একই অবস্থা হতে পারে মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। বাবা ভাঙার বার্তা অনুযায়ী, ট্রাম্পের মাথায় এমন একটা টিউমার হয়ে, যা তাকে বোবা করে দেবে অথবা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে।
তিনি আরো বলেছিলেন, মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের কোপে পড়তে পারে গোটা ইউরোপ। রাসায়নিক অস্ত্রে ধ্বংসলীলা চালাতে পারে সেই সন্ত্রাসবাদীরা। বুলগেরিয়ার আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন নারী বাবা ভাঙা ৩০০৫ সালে মঙ্গলগ্রহে বিশ্বযুদ্ধ হবেও বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের ওই ব্যক্তিকে বলা হয় ‘নস্ত্রাদামুস অব বালকান’। আইএসের উত্থানের কথাও তিনি আগেই বলেছিলেন। তার বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে রাজনীতি-কেন্দ্রিক। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাও বলেছিলেন বাবা ভাঙা। তার দাবি ছিল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে রাশিয়া আরো বেশি ক্ষমতাশালী হবে। একইসঙ্গে ভয়ঙ্কর সুনামির কথাও বলেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার ভয়ঙ্কর সুনামিও সেই ইঙ্গিত দিয়ে গেছে।
এর আগে তিনি বলেছিলেন ২০১৮ সালে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারপাওয়ারে পরিণত হবে। বর্তমানে দেশটির অর্থনীতির দিকে থাকালেই তা দেখা যায়। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারের পরিণতির কথা নাকি বাবা ভাঙা বলেছিলেন ১৯৮৯ সালে। আর জলবায়ু পরিবর্তন ও ২০০৪ সালের সুনামির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন গত শতকের পঞ্চাশের দশকে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হবেন একজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সেটাও মিলে গেছে।