নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের জন্য নিজেদের স্কোয়াডে লেগস্পিনার মিচেল সুইপসনকে যুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে অভিষেক হয়ে যেতে পারে তার।
তবে সুইপসনকে দলে নেয়ার পেছনে সুদূরপ্রসারী ভাবনাই মাথায় রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নতুন বছরের জুন মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সে সিরিজে নাথান লিয়নের স্পিনসঙ্গী হিসেবে নেয়ার জন্যই মূলত তাকে পরখ করে দেখতে চায় অসিরা।
এর আগে ২০১৭ সালের ভারত ও বাংলাদেশ সফরেও দলের সঙ্গে ছিলেন সুইপসন। তবে সে দুই সফরে লিয়নের সঙ্গে বাড়তি স্পিনার হিসেবে স্টিভেন ওকিফ ও অ্যাশটন অ্যাগার খেলায়, অভিষেক হয়নি এ ২৬ বছর বয়সী লেগস্পিনার। চলতি শেফিল্ড শিল্ডে হ্যাটট্রিকসহ ১২ উইকেট নিয়ে ফের দলে সুযোগ পেলেন সুইপসন।
টেস্ট ক্রিকেটে না হলেও, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এরই মধ্যে নাম লিখিয়েছেন সুইপসন। গতবছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। খানিক খরুচে বোলিংয়ে ৩৭ রানে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হয়নি তার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে সুইপসনের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক। কেননা কন্ডিশনগত কারণেই সেখানে স্পিনাররা পেয়ে থাকেন বাড়তি সুবিধা। যার ফলে লিয়নের সঙ্গে বাড়তি স্পিনার হিসেবে লেগি সুইপসনকে নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
দলের প্রধান নির্বাচক ট্রেভর জনস বলেন, ‘সুইপসন দলের সঙ্গে থাকা মানে, কন্ডিশন বিবেচনায় আমরা চাইলেই দুই স্পিনার খেলাতে পারবো। তবে সিডনিতে গিয়েই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’
এদিকে সুইপসন মন করছেন তিনি এখন আগের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ ও সমৃদ্ধ। তার ভাষ্যে, ‘নিশ্চিতভাবেই আমি এখন আগের চেয়ে বেশি সমৃদ্ধশালী এবং অভিজ্ঞও। তারা (অস্ট্রেলিয়া) লিয়নকে সঙ্গ দেয়ার জন্য একজন স্পিনার খুঁজছে। এ দায়িত্বের জন্য আমি অবশ্যই নিজেকে এগিয়ে রাখবো।’
সুইপসনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করে পেসার পিটার সিডলকে ছেড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিনি এখন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারের হয়ে বিগ ব্যাশ খেলার জন্য পুরোপুরি মুক্ত।