ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) মূলত জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতেই (এনআরসি) ব্যবহার করা হবে বলে মত দিয়েছেন দেশটির লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। আর সে কারণেই এনপিআর-এ ভুল নাম ও ঠিকানা দিয়ে এসবের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক।
বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, এনআরসি তৈরি করা হচ্ছে মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য।
২০১০ সালে শেষবারের মত এনপিআর করা হয় ভারতে। ২০১৫ সালে একটি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তা আপডেট করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ে জানিয়েছেন এনআরসি’র জন্য এনপিআর-এ সংগ্রহ করা তথ্য ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু তাদের এই কথার সঙ্গে মোটেও একমত নন অরুন্ধতী রায়। তিনি বলেন, তারা আপনাদের বাড়িতে যাবেন, নাম, ফোন নম্বর ও অন্যান্য তথ্য নিয়ে নেবেন। আর এনআরসির তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে এনপিআর। কাজেই এসবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে।
এ সময় তিনি সরকারের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, যখন তারা আপনার বাড়িতে এনপিআরের জন্য যাবেন, আপনার নাম জিজ্ঞাসা করবেন, তখন তাদের ভিন্ন নাম বলবেন। ঠিকানার জন্য সেভেন আরসিআর (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) বলবেন। ব্যাপক প্রতিরোধ দরকার। আমরা লাঠিপেটা ও বুলেটের মুখোমুখি হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথসভার শুরুতে বলেন, এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে মোদি এবং অমিত শাহ মিথ্যা বলছেন। এবার মমতার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন অরুন্ধতী। তিনি বলেন, বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে মোদি মিথ্যা বলেছেন। তিনি মিথ্যা বলেছেন, কারণ গণমাধ্যম তার সঙ্গে রয়েছে।
ভারতের জনপ্রিয় এই লেখক আরো বলেন উত্তর প্রদেশে মুসলমানরা হামলা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ লুটতরাজ ও তল্লাশি চালাচ্ছে।