অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে ৩ জানুয়ারি সাউথ আফ্রিকা রওনা হবে বাংলাদেশ দল। আগেভাগেই হয়ে গেল নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আকবর আলি-তৌহিদ হৃদয়দের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। টাইগার যুবাদের অনুপ্রাণিত করতে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে তোমাদের সঙ্গে আমিও থাকব মাঠে।
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স সেমিফাইনাল। সেটি ছিল দেশের মাটিতে। ২০১৬ বিশ্বকাপে মিরাজ-শান্তরা লড়েন সেমি পর্যন্ত। দেশের বাইরে সেরা সাফল্য নিউজিল্যান্ডে, ২০১৮ বিশ্বকাপে সাইফ-আফিফদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। এবার সেটিকে ছাড়িয়ে যাক, সেটিই চান নাজমুল।
‘এর আগে আমরা যতগুলো দল পাঠিয়েছি, প্রস্তুতির বিচারে এরচেয়ে ভালো দল আগে পাঠাতে পারিনি। ওদের বিদেশে অনেক অভিজ্ঞতা আছে। ইংল্যান্ডে তাদের বিপক্ষে জিতেছে, নিউজিল্যান্ডে ৪-১এ জিতেছে। ওইসব কন্ডিশনে ওরা খেলেছে। এদিক দিয়ে যদি বলি, ওরা ভালো করছে।’
‘ওদের এটাই বলেছি আগে কী হয়েছে সেটা মানুষ মনে রাখে না। এখন কী হচ্ছে সেটাই বড় কথা। তারা কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। অনেক ভালো ফলাফলও পেয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সাউথ আফ্রিকাতেও ওরা ভালো করবে। ওদের সেই ক্ষমতা আছে। কয়েকটা ছেলে তো অসাধারণ খেলা খেলছে এবং অনেকবেশি সম্ভাবনাময়। ওদের বলেছি, আজ পর্যন্ত আমি সাউথ আফ্রিকা যাইনি। এমনকি জাতীয় দলের জন্যও না। কিন্তু তোমরা সেমিফাইনালে উঠলে তোমাদের খেলা দেখতে যাবো।’
বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ড। ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরু হবে আকবর-তৌহিদদের।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: আকবর আলি (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তানিম, পারভেজ হোসেন ইমন, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, শামিম হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, তানজিম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিন আলম, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ।