সভা-সমাবেশ করা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সমাবেশ করতে চাইলে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারলেও তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন নয় যে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন না পেলে সরকার গঠন করা যাবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হার-জিত হতেই পারে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সরকারের এই মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছেন বিএনপি সভা সমাবেশের অনুমতি চাইলে দিতে। কারণ শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নয়। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের আন্দোলন সংগ্রামের কারণে তৎকালীন ওয়ান-ইলেভেনের সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তৃণমূলকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ তৃণমূল আওয়ামী লীগের বড় শক্তি।
তিনি বলেন, তৃণমূলের যারা কমিটিতে এসেছেন তারাও এক সময় ছাত্র রাজনীতি করেছেন। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি ৭ জনের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। ২৫ ভাগ নারী নেত্রী রাখা হবে এ কমিটিতে। নতুন কমিটি হওয়ার পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চাপ না থাকলেও এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
কাদের জানান, দুই সিটিতে ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
এ সময় নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।