ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ধাপগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম এবং মুনসুরা বেগম। তাদের বেশ কয়েকটি পোষ্য মুরগি ছিল। সম্প্রতি আটটি মুরগি মারা যাওয়ার পর তাদের খুন করা হয়েছে বলে দাবি জানায় এ দম্পতি।
তারা মৃত মুরগির ময়নাতদন্ত দাবি করে থানায় যায়। পুলিশও এসব মুরগির ময়নাতদন্ত করবে বলে জানায়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ওই দম্পতির প্রতিবেশী ইমাজ্জিন আলী। তার মরিচ খেতে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ে ওই ১০টি মুরগি। তাদের আনাগোনা ভাল চোখে দেখতেন না ইমাজ্জিন।
ওই দম্পতির অভিযোগ, সোমবার মরিচ খেতে ঢুকে পড়া মুরগির জন্য বিষ মেশানো মুড়ি, ভাত ছড়িয়ে রাখে ইমাজ্জিন। ওই খাবার খায় ১০টি মুরগি। খাবার খাওয়ার পর আটটি মুরগিই মারা গিয়েছে। কীভাবে মুরগিগুলি মারা গেল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি দম্পতির।
এরপর মুনসুরা তার প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। ঝগড়াঝাটির মাঝে ইমাজ্জিন তার শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ করেন।
পরে মরা মুরগি নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে যান আমিনুল এবং মুনসুরা। সেখান থেকে সোজা কোতয়ালি থানায় যান দুজনে।
পুলিশ জানায়, ওই দম্পতির অভিযোগ মুরগিদের ‘খুন’ করা হয়েছে। তাই তাদের ময়নাতদন্ত করতে হবে। আইন অনুযায়ী, কোনও পশু বা প্রাণীকে খুন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হতে পারে জরিমানাও। সে জন্য অভিযোগ নেয়ার পাশাপাশি মুরগিদের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তাদের।