Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রানা নাভেদ এর চেয়েও বড় ছক্কা খেয়েছেন: ইমরুল!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:২১ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:২১ PM

bdmorning Image Preview


এই তো কদিন আগে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের লঙ্কান রিক্রুট ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা এক বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন শেরে বাংলায়। বল শেরে বাংলার গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদে পড়ে স্টেডিয়ামের বাইরে চলে গিয়েছিল।

আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে আরেক বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ঢাকার দ্রুতগতির বোলার হাসান মাহমুদকে পুল করে ছক্কা হাঁকান ইমরুল। তা সরাসরি শেরে বাংলার গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের যেখানে লেখা আছে, তার ঠিক পাশে গিয়ে আঘাত হানে।

বাংলাদেশিদের ব্যাট থেকে এমন বিশাল ছক্কা সচরাচর দেখা যায় না। বছর পাঁচ ছয়েক আগে ইনজুরি থেকে ফিরে ঢাকা মোহোমেডানের হয়ে খেলতে নামা মাশরাফি এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন, সেটা গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের ছাদের কার্নিশে লেগে আবার মাঠে চলে এসেছিল।

আজ ইমরুল বিপিএলের মত বড় আসরে অত বড় ছক্কা হাঁকিয়ে রীতিমত আলোড়ন তুলেছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে-এটাই কি ইমরুলের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ছয়ের মার? শেরে বাংলার গ্যালারি এমনকি প্রেস বক্সেও গুঞ্জন।

খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্সেও উঠল প্রশ্ন । এক সাংবাদিক জানতে চাইলেন-এটাই কি আপনার সবচেয়ে বড় ছক্কার মার? ইমরুল তাৎক্ষণিক ঠিকভাবে বলতে পারলেন না। তবে যা বললেন, তার সারমর্ম হলো-তিনি আগেও বড় ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

ইমরুল প্রকৃত বছর মনে করতে পারলেন না। তবে ঘটনাটি ২০০৯ সালের। এবং এই শেরে বাংলায়ই। সেই ছক্কা নিয়ে ইমরুল বলেন, ‘আমি জানি না, এটাই আমার সবচেয়ে বড় ছক্কা কি না। আমি কত মিটার মেরেছি সেটাও তো জানি না। এর আগে হয়তো মেরেছি। এখানেই হয়তো মেরেছি। মোহামেডানের বিপক্ষে রানা নাভেদকে। অলমোস্ট স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়েছিল বলটা। ছক্কা তো আসলে অনেক জায়গায় অনেক বড় বড় মেরেছি। এটা কত মিটার হয়েছে সেটা আসলে জানা নেই।’

আগের দিন বলেছিলেন, ঢাকা পর্বে অন্তত এক ম্যাচ জিতে ৬ জয়ে সুপার ফোর প্রায় নিশ্চিত করতে চাই। সেখানে আজ প্রথম ম্যাচেই ধরা দিল সে কাঙ্খিত জয়। এ জয়কে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এটা কি বোনাস বলে গণ্য করবেন? ইমরুলের জবাব, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই এটা বোনাস জয়। আমরা বাকি চারটা ম্যাচের মধ্যে দুটি যদি জিততে পারি তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা থাকবে।’

চট্টগ্রাম অধিনায়ক যোগ করেন, ‘যেভাবে আমরা যাচ্ছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। এরপর সামনের চার ম্যাচে যদি দুই একটা জিতে যাই, তাহলেই চলবে। আর এক-দুইয়ে থাকতে পারলে অনেক ভালো। তখন ফাইনালের জন্য দুটি সুযোগ থাকবে।’

Bootstrap Image Preview