শুভসূচনা করেছিলেন আফিফ হোসেন ও লিটন দাস। মাঝখানে হাল ধরলেন শোয়েব মালিক। আর শেষদিকে ঝড় তুললেন আন্দ্রে রাসেল। তাতে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল রাজশাহী রয়্যালস। তাদের ১৯১ রানের টার্গেট দিল বরেন্দ্রভূমির দলটি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের তৃতীয় পর্বের ম্যাচে শনিবার দুপুরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক ডেভিড মালান। ফলে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী রয়্যালস।
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও লিটন দাস। দলীয় ৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৪ করে লিটন ফিরলেও থেকে যান আফিফ। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। ধীরে ধীরে ফিফটির পথে এগিয়ে যান তিনি। তবে এ থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে সৌম্য সরকারের বলে প্লেড অন হয়ে থামেন আফিফ। ফেরার আগে ৩০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।
পরে রবি বোপারাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। তবে তাতে বাদ সাধেন মুজিব-উর রহমান। জাদুকরী গুগলিতে বোপারাকে বোল্ড করে ফেরান তিনি।
তাতে সাময়িক চাপে পড়ে রাজশাহী। সেখান থেকে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে খেলা ধরেন শোয়েব। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। স্বভাবতই কুমিল্লার বোলারদের ওপর তোপ দাগাতে শুরু করেন তারা। ফলে দ্রুতগতিতে ঘুরে উত্তরবঙ্গের দলটির রানের চাকা।
পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন শোয়েব। এবারের আসরে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি।
চলমান বিপিএলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। সেখানে নাজুক অবস্থা কুমিল্লার। ৫ ম্যাচে ৩ হারের বিপরীতে ২ জয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে তারা।
রাজশাহী রয়্যালস একাদশ:লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন, শোয়েব মালিক, রবি বোপারা, আন্দ্রে রাসেল (অধিনায়ক), অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, ইরফান শুক্কুর, নাহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইরফান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশ: সৌম্য সরকার, ডেভিড মালান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, স্টিয়ান ভ্যান জিল, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), রবিউল ইসলাম, ডেভিড ভিসে, মুজিব-উর-রহমান, আল -আমিন হোসেন, সানজামুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি।