Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পকেট মেরে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা আয়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৬ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


একজন পকেটমারের দৈনিক আয় কত হতে পারে? যদি শুনেন কোন পকেটমার দিনে ২০ হাজার টাকার বেশি পকেট মেরে আয় করেন তাহলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এমনটাই হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

গত সোমবার ভারতের হায়দরাবাদের সেকেন্দরাবাদ থেকে এক পকেটমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩৩ বছর বয়সী ওই পকেটমারের নাম থানেদার সিংহ কুশওয়াহা। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৭ লাখ টাকা মূল্যের সোনার গহনা, সঙ্গে ছিল নগদ ১৩ লাখ টাকা। তিনি দিনে অন্তত ২০ হাজার টাকা পকেট মারেন। এই কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন মাত্র একটা সেভিং ব্লেড।

জিআরপি’র এক কর্মকর্তা জানান, ২০ হাজার টাকার কমে কখনো পকেট মারেন না কুশওয়াহা। বছরের পর বছর এমন কাজ করেই বিপুল সম্পত্তি করেছেন তিনি। তেলঙ্গানার চন্দ্রনগরের মতো অভিজাত এলাকায় বাস করেন তিনি। প্রতি মাসে তাকে বাড়ি ভাড়াই গুণতে হয় ৩০ হাজার টাকা। তিনি দুই সন্তানকে পড়ান আন্তর্জাতিক স্কুলে। তাদের পেছনে বছরে খরচ হয় দুই লাখ টাকা।

পুলিশ কর্মকর্তা বি অনুরাধা জানান, আদতে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা কুশওয়াহা ২০০৪ সাল থেকে ট্রেনে ট্রেনে পকেট মেরে বেড়াচ্ছেন। এ হেন কুশওয়াহা এক সময় পাক জঙ্গি আজমল কাসাভের সঙ্গে ইয়েরওয়াড়া জেলেও বন্দী ছিলেন।

অনুরাধা বলেন, ‘লোকাল ট্রেনে নয়, রীতিমতো ছক কষেই টিকিট কেটে দূরপাল্লার ট্রেনে উঠতেন কুশওয়াহা। প্রতি মাসে এ রকম আটটি ট্রিপে বেরোতেন। তবে প্রতি ট্রিপ থেকেই যাতে কমপক্ষে হাজার কুড়ি টাকার জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টায় থাকতেন কুশওয়াহা। তার বিরুদ্ধে ৪০০ এর বেশি অপরাধের মামলা ঝুলছে। ২০০৭ ও ২০১১ সালে একবার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৫ সালের পর আর ধরা যায়নি তাকে।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার সেকেন্দরাবাদে একটি উড়ালপুলের কাছে কুশওয়াহা ও তার সঙ্গী অরুণের মোটকসাইকেলটি অনেকক্ষণ রাখা ছিল। বাইকের কাছে ফিরে পুলিশকর্মীদের দেখেই পালাতে শুরু করেন তারা। তাদের ধাওয়া করে জিআরপি। পুলিশের নজর এড়িয়ে অরুণ পালালেও কুশওয়াহাকে গ্রেফতার করা হয়।

Bootstrap Image Preview