তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। গতকাল শনিবার থেকে সেখানে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় রাজধানীজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান,শনিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এর আগে ১৯০১ সালে এত তীব্র শীত অনুভূত হয়েছিল দিল্লিতে। ১১৮ বছরে প্রথমবার তাপমাত্রা এত নিচে নেমে এসেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটির খবরে বলা হয়েছে, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ট্রেন ও বিমানের ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চান্দিগর এবং দিল্লির বেশ কিছু স্থানে রোববার তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। তবে রাজস্থানের পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে।
চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নাগাল্যান্ডে তুষারপাত শুরু হয়েছে। গত তিনদিন ধরে ওই এলাকায় ভয়াবহ ঠান্ডায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লিতে প্রচন্ড শীত পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১৩ দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে,দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকবে।
এদিকে, প্রবল ঠান্ডা কাঁপছে গোটা উত্তর ভারতও। গত ১০ বছরের মধ্যে শীতলতম শ্রীনগরে তাপমাত্রা নেমে এসেছে শূন্যের ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি নিচে। লাদাখের লেহ শহরে তাপমাত্রা নেমে এসেছে -১৮ ডিগ্রিতে।
এ ছাড়া কাশ্মীরের পহেলগামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছে -১২ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। শূন্যের নিচে তাপমাত্রা নেমেছে হিমাচল প্রদেশের কুরফি, মানালি, কল্পার মতো এলাকাগুলোতেও।