Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বেড়ালের এতিমখানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৫৪ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


দিতা আগুস্তা। ইন্দোনেশিয়ায় পশ্চিম জাভা দ্বীপের পারুং এলাকার ৪৫ বছর বয়সী গৃহিণী। নিজ বাড়িতে রাস্তার অসুস্থ বিড়ালের জন্য একটি এতিমখানা খুলে আলোচনায় এসেছেন সারা বিশ্বে। ২০১৫ সাল থেকে এতিমখানাটি চালু করেন দিতা আগুস্তা। স্বামী মোহামাদ লুতফিও তাকে সহায়তা করে যাচ্ছেন অক্লান্ত। সম্প্রতি রয়টার্সের এক ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই দম্পতির বিড়ালপ্রেমের কথা।

বর্তমানে তাদের বাড়িতে আছে ২৫০টির বেশি বিড়াল। বাড়ির সব জায়গায়ই বিড়ালের ছড়াছড়ি। ক্ষুধা লাগলেই তারা ডাকাডাকি শুরু করে। দিতা আগুস্তা তখন একটি ট্রেতে করে খাবার নিয়ে আসেন তাদের জন্য। খাবার দেওয়ার পরই বিড়ালগুলো শান্ত হয়ে খেতে শুরু করে। এরপর তাদের বিশ্রামের জন্য ঘরের দেয়ালে তৈরি করে দেওয়া কাঠের তাকে গিয়ে চুপটি করে শুয়ে থাকে।

দিনের একটা সময়ে বিড়ালগুলো খেলায় মেতে ওঠে দিতা আগুস্তার সঙ্গে। বিড়ালগুলোর সঙ্গে খেলা করা পছন্দের কাজ দিতার। বিড়ালগুলো পছন্দ করে তার সঙ্গ।

দিতা জানান, রাস্তায় অসুস্থ বিড়াল দেখলেই মায়া হয় তার। তিনি সেগুলো নিয়ে আসেন নিজের বাড়িতে। তাদের অন্তর থেকেই ভালোবাসেন তিনি। তবে সুস্থ বিড়াল ঘরে আনেন না তিনি। তার ভাষ্য, সুস্থ বিড়ালগুলো নিজেরাই বাঁচতে পারবে। সুযোগ হে মাঝে মধ্যে তাদেরও খাবার দেন তিনি। দিতা জানান, অন্তর থেকেই অসুস্থ বিড়ালগুলোকে ভালোবাসেন।

রয়টার্স বলছে, দিনে দুইবার বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কার করেন ওই দম্পতি। এজন্য অবশ্য ছয় জন কর্মী সহায়তা করেন তাদের। বিড়ালের খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য কারণে তার প্রতিদিনের ব্যয় প্রায় ছয় হাজার টাকা। ওই টাকা নিজেদের তহবিল থেকেই ব্যয় করেন তারা। কারও সহায়তা নেন না এখনো।

সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কায় কোনো বিড়ালকে বন্ধ্যা করা হয় না এই এতিমখানায়। অবশ্য কেউ দত্তক হিসেবে নিতে চাইলে তাকে স্বাগত জানান তারা। তবে যে বিড়ালগুলো বিকলাঙ্গ সেগুলো সারা জীবনই থাকতে পারে এতিমখানায়।

Bootstrap Image Preview