নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থের পর মেলবোর্ন টেস্টেও সহজ জয়ই পেয়েছে স্বাগতিকরা। তাই দেশটির সাবেক লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন পরামর্শ দিয়েছিলেন, বর্তমান দলের অফস্পিনার নাথান লিয়নকে সিডনিতে শেষ ম্যাচে বিশ্রাম নেয়ার জন্য।
যা কি না মনঃপুত হয়নি লিয়নের। শুধু তাই নয়। লিয়ন রীতিমতো পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ওয়ার্নের উদ্দেশ্যে। একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কোনোরকমের বিশ্রাম নিতে আগ্রহী নন।
আগামী বছরের জুনে সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরের আগে সিডনিতে শেষ টেস্টটি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাই সে ম্যাচের আগে উদীয়মান লেগস্পিনার মিচেল সুইপসনকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য লিয়ন যেন বিশ্রাম নেন- এমন পরামর্শই দিয়েছিলেন ওয়ার্ন।
তার এ পরামর্শের বিপরীতে লিয়ন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি কখনও শুনিনি যে কোনো অস্ট্রেলিয়ান বিশ্রাম নিতে চায়। আচ্ছা, ওয়ার্ন কি তার খেলোয়াড়ি জীবনে একবারও (স্টুয়ার্ট) ম্যাকগিলকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলেন?’
উল্লেখ্য, ম্যাকগিলের ক্যারিয়ারের দীর্ঘসময় কেটেছে শেন ওয়ার্নের আড়ালে থেকেই। ১৯৯৮ সালে টেস্টে অভিষেকের পর ১০ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ৪৪টি টেস্ট খেলতে পেরেছেন ম্যাকগিল। এর মধ্যেই তিনি শিকার করেছিলেন ২০৮টি উইকেট। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে তখন ওয়ার্নের মতো লেগস্পিনার থাকায় নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতেন না ম্যাকগিল। সে বিষয়টিই মনে করিয়ে দিলেন লিয়ন।
তবে নিজে বিশ্রাম না নিলেও, দলে দুই স্পিনার নিয়ে সুইপসনকে খেলানোর ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন লিয়ন। তার মতে, ‘প্রায়ই শোনা যায় দুই স্পিনার নিয়ে খেলার কথা। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে সুইপসন দারুণ বোলিং করেছে। আমাদের স্কোয়াডে এমন বৈচিত্রপূর্ণ আক্রমণ থাকাটা অনেক বড় স্বস্তির। যার ফলে কন্ডিশন বা প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন, আমরা সেরা দল নিয়েই মাঠে নামতে পারবো।’
লিয়ন আরও বলেন, ‘বোলিং পার্টনার হিসেবে সুইপসন খুব ভালো। তার বোলিংয়ের বিশেষত্ব আমার পছন্দের জিনিস। আমি সুইপসনের অনেক বড় ভক্ত। তাকে স্কোয়াডে দেখতে পাওয়াটাও পরম আনন্দের। সে যদি দলে সুযোগ পায়, আশা করছি আমরা দুজন মিলে দারুণ এক জুটি গড়তে পারবো।’