Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও আক্রমণাত্মক হব : কিম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৩ PM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন বছরে আরও ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ দিকে এসে এ মন্তব্য করলেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ এই নেতা। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার কিম ওয়ার্কার্স পার্টির উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক উদ্বোধন করেন। রবিবার তিনি ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। কিম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে দেশের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে কিম এই মন্তব্য করেন।

উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে কয়েক দফার আলোচনা ভেস্তে গেছে। ফলে কিম যুক্তরাষ্ট্রকে নিরস্ত্রীকরণে কার্যকর প্রস্তাব দিতে এ বছরের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল । নয়তো পিয়ংইয়ং ফের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। জবাবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা তার চেয়েও আধুনিক কোনো অস্ত্র উৎক্ষেপণ বা পরীক্ষা করলে ওয়াশিংটন ‘ভয়ানক হতাশ’ হবে।

কিমের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হতে চলেছে। সমস্যা সমাধানে সামনের বছরে উত্তর কোরিয়ার নীতি কেমন হবে সে সিদ্ধান্ত নিতেই উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের আয়োজন। বৈঠকে কিম ‘আক্রমণাত্মক নীতি’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা খোলাসা করেন নি। তবে নতুন বছরের শুরুতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া কিমের ভাষণের আগে এমন মন্তব্য গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে। কেননা প্রতিবছরের এ ভাষণগুলোতেই কিম বড়ো কোন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দেন।

 

Bootstrap Image Preview