গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ও গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ দুটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়।
তবে ভোট শুরুর পূর্বে এবং ভোট চলাকালে এ দুই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টার দিকে গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের যশপুর, শুভপুরসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সকাল ৮টার দিকে শুভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে দুই সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধরা হলেন কৃষ্ণনগর গ্রামের সোলেমান মিয়ার পুত্র রুবেল (২৮), আয়ুব আলীর পুত্র জসিম (৩০), আবদুল আজিজের পুত্র আবুল বাশার (৩৮), হাবিল মিয়ার পুত্র আবদুল কুদ্দুস (৩০), আবদুল রাজ্জাকের পুত্র রিপন (২০)। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুভপুর এলাকায় গুলি বিনিময়ে আহত আবুল বাশার অভিযোগ করে বলেন, সকাল ৮টার দিকে ছেলেসহ আমি ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। পথে মেম্বার প্রার্থী জিয়া উদ্দিনের (ফুটবল মার্কা) সমর্থকরা অপর মেম্বার প্রার্থী (মোরগ) মামুনুর রশিদের সমর্থকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
এদিকে, ভোট শুরুর কিছুটা পরে একই ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দু’একটি দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
যশপুর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিজয় কুমার দাস জানান, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়নি। বাইরে হলে হতেও পারে। তবে ভেতরে খুব সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে।একই দাবি করেছেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন অফিসার নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা বা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।