Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধায় মেয়ের ধর্ষণ মামলা করতে গিয়ে পিতা নিজেই আসামি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৬ PM
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের টিয়াগাছা গ্রামে পালিত মেয়ের ধর্ষণের মামলা করতে গিয়ে পালক পিতা ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী চেংটু নিজেই আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি মাসুদ মিয়ার বিচার এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলা থেকে পালক পিতার অব্যাহতি, সুবিচারসহ পুলিশের অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিকারের দাবি জানিয়ে সোমবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেই মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এ টি এম রেজানুল ইসলাম বাবুর বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী চেংটুর সাথে তার বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে ফাঁসাতে নানা ফন্দি আঁটেন। চেয়ারম্যানের নিকটতম প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্তলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়া তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত ৩ মে রাতে নিজ বাড়িতে তাকে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে মাসুদ মিয়া। কিন্তু পরে মাসুদ মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পর দিন ৪ মে ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী শিউলী বেগম থানায় ধর্ষক মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে চেয়ারম্যানের প্রভাবে তাদের বেআইনিভাবে আটক করে হাজতে রাখে পুলিশ। সেখানে তাদের গালিগালাজ ও মারপিট করা হয়। শুধু তাই নয়, পুলিশ জোর করে মেয়েকে দিয়ে উল্টো চেংটুর বিরুদ্ধেই ধর্ষণ ও অকাল গর্ভপাত ঘটানোর মিথ্যা অভিযোগে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী, শিউলী বেগম, ধর্ষিতা, প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এ টি এম রেজানুল ইসলাম বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, প্রকৃত পক্ষে একটি নিরীহ ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ইদ্রিস নিজেই ফেঁসে যান।

Bootstrap Image Preview