ওদের কাজ চলন্ত ট্রেন থেকে ঝুঁকি নিয়ে নেমে নাচানাচি করে আবার দুরন্ত গতির ট্রেনে চড়ে যাওয়া। চলন্ত ট্রেনে এক দরজা থেকে অন্য দরজা বা জানালার রড ধরে ঝুলে যাওয়াই তাদের কারসাজি। ওরা স্টান্টবাজ বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। আর সেই স্টান্টের জেরেই মৃত্যু হল এক তরুণের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার আত্মীয়ের বিয়ের জন্য বাজার করতে লোকাল ট্রেনে চেপে যাচ্ছিল নওসত খান নামে এক যুবক। সঙ্গে ছিল তাঁর বন্ধু। ট্রেনটি ডিভা ও মুবরা এলাকার মধ্যে পৌঁছালে হঠাৎই স্টান্ট দেখান তিনি। গোটা বিষয়টি ভিডিও করতে বলেন তাঁর বন্ধুকে। প্রায় ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্টান্ট দেখান তিনি। এরপর আচমকাই একটি থামে আঘাত লাগে তাঁর মাথায়। পড়ে যান সেখানেই।
স্থানীয়দের চেষ্টায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নতুন বছরেই ২১ বছর বয়সে পদাপর্ন করবে নওসত। অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে গোটা পরিবারের জন্য রোজগার করতেন তিনি। পরিবার বলতে তিন বোন, দুই ভাই ও বাবা-মা। তাঁর মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার।
তাঁর বাবা জানিয়েছেন,‘কয়েকদিন আগে এই চাকরিটা পেয়েছিলেন তিনি। সবাই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সেই খুশি বেশিদিন টিকল না।’
স্টান্টের নেশায় অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল সূত্রে খবর, এর আগে প্রায় স্টান্ট করতে গিয়ে রেলপুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল ১৭ জন যুবক। এই পর্যন্ত মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য রেলের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তাও। যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা করা হয়েছিল রেলের তরফ থেকেও।
রেল সূত্রের খবর, ট্রেনে ফুটবোর্ডে দাঁড়ানোর জন্য প্রায় ৫০০ জনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে নিজেরাই সচেতন নন।
সূত্র: এই সময়