ভারতের সেনাপ্রধান হিসেবে মেয়াদ যখন একেবারেই শেষ প্রান্তে তখন রাজনৈতিক মন্তব্য করে সমালোচিত হন বিপিন রাওয়াত। এ সমালোচনা যখন চলমান, তারই মাঝে পদোন্নতি হলো তার। ভারতের সেনাপ্রধান থেকে বিপিন রাওয়াত এখন দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়,গতকাল সোমবার বিপিন রাওয়াতকে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার একদিন আগে গত রোববার তিনি ভারতের সেনাপ্রধান পদ থেকে অবসরে যান।
নতুন এ পদে বিপিন রাওয়াত ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিপিন রাওয়াতকে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা তাদের কাজের ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দেবেন। নতুন এ দায়িত্বে ভারতীয় স্বশস্ত্র বাহিনীর সম্প্রসারণ, অস্ত্র সম্পর্কিত নানা বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন বিপিন রাওয়াত।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা ভারতে ঢুকে গেলে নিরাপত্তার ঘাটতি অনুভব করে ভারত। কারগিল যুদ্ধ নামে সে ঘটনার পরেই তিন বাহিনীকে দেখাশোনা করার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদটি সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়। তবে ভারতের এবারের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদটি সৃষ্টির ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমাদের বাহিনী দেশের গর্ব। বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে, লালকেল্লা থেকে আমি একটি বড় ঘোষণা করতে চাই। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ করা হবে। এর ফলে বাহিনী আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।’
এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর বিপিন রাওয়াত ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলমান আন্দোলনে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষকে সঠিক পথ দেখানোই নেতৃত্বের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের একাংশের নেতৃত্বে বিভিন্ন শহরে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেতৃত্ব এমন হয় না।’
বিপিন রাওয়াতের এ মন্তব্যের ভারতের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একজন সেনাপ্রধান এমন রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন কিনা, সে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।