সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় হাসপাতাল থেকে বাবার লাশ নিতে অস্বীকার করেছে ছেলেমেয়েরা! বিষয়টি জানতে পুলিশ মৃতের বড় ছেলেকে বাবার লাশ নিতে বাধ্য করে। পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হারাধন কোটাল (৭০) তিন ছেলেমেয়ের বাবা। বড় ছেলে পাঁচ মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
তারপর থেকে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। বাকি দুই সন্তানের কাছেও আশ্রয় পাননি। তিনি দুমাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন। কেউই তাকে দেখতে যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে মারা যান হারাধন কোটাল। কিন্তু ছেলেমেয়েরা তার লাশ নিতে আসেনি। পরে পুলিশ বড় ছেলে অরুণকে বাবার লাশ নিতে বাধ্য করে।
অভিযোগ, হারাধন ছেলেমেয়েদের সম্পত্তি লিখে দেননি। সম্পত্তি বিক্রির টাকার ভাগও দেননি।
বড় ছেলে অরুণ জানান, ‘বাবা জমি-বাড়ি বিক্রি করে টাকা নয়ছয় করেছে। আমাকে কিছুই দেয়নি। ভাইকে দিয়েছে কিনা বলতে পারব না। আমার মেয়ের বিয়ের সময় বাবার থেকে টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। রাগ হবে না কেন?’
তবে গ্রামবাসী বলছেন অন্য কথা। তাদের ভাষ্য, ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরেই হারাধনবাবুর দেখভাল করতেন না। বাবার সম্পত্তিতে তাদের লোভ ছিল। তা না-পাওয়ায় অমানবিক আচরণ করতে তারা দ্বিধা করেননি। বাবার মৃত্যুতেও তাদের রাগ যায়নি।