এবার বাংলা ভাষা শেখা শুরু করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ জন্য বাংলা বিষয়ে একজন পণ্ডিতকে নিয়োগও দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, অমিত শাহ তাই পশ্চিমবঙ্গ দখলের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বাংলা শেখা শুরু করেছেন।
অমিত শাহের বাড়ি গুজরাটে। তবে মাতৃভাষা গুজরাটি ছাড়ও বেশ ভালো হিন্দি বলতে পারেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ভাষা শিখতে আগ্রহী। এবার হিন্দির মতো ভালো বাংলা শেখার আগ্রহ জন্মেছে তার। রীতিমতো বাংলা পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক দিন ধরে বাংলা কাগজ হিন্দিতে বা ইংরেজিতে তরজমা করে শোনানো হচ্ছে তাকে। তবে তিনি চাচ্ছেন, বাংলা পত্রিকা পড়তে অন্যের নির্ভরতা কমাতে।
নির্বাচনী প্রচারণায় পশ্চিমবঙ্গে বক্তব্য দেয়ার প্রস্তুতি নিতেই বাংলা শিখছেন অমিত শাহ। এতে পশ্চিমবঙ্গবাসীর অনেক বেশি আকর্ষণ করবে ও তিনি ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন।
প্রতিপক্ষ মমতা ব্যানার্জির দেশে নির্বাচনী প্রচারণায় ভাষা যাতে কোনো অন্তরায় না হয়, সেই লক্ষ্যে এখনই বাংলা শেখার প্রতি মনোযোগী হয়েছেন এ বিজেপি সভাপতি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হতে আরও এক বছর বাকি। আর এই এক বছর সময়ে বাংলাতে কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করবেন অমিত শাহ। অমিত শাহকে বাংলার বাইরের মানুষ বলে মমতা যেন আর কটাক্ষ না করতে পারে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন অমিত শাহ।
আগামী রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করতে কোথাও কোনো কমতি রাখতে চান না এই বিজেপি নেতা। তবে এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন ভিন্নকথা।
তিনি বলেছেন, অমিত শাহ বাংলা শিখছেন এটি সত্যি। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অমিত শাহ শুধু বাংলা নয়; তামিল ও চারটি প্রদেশের ভাষা শিখছেন।
অমিত শাহ জেলে থাকাকালীন হিন্দি ভাষা শেখেন বলে জানান এই বিজেপি নেতা। এদিকে অমিত শাহের বাংলা শেখার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গতকাল বুধবার তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ নাম শুনলেই অনেকে তাকে বাঙালি ভেবে ভুল করবেন। অমিত শাহ ভালো হিন্দি জানেন। আর পশ্চিমবঙ্গের লোকও হিন্দি বেশ ভালোই পারে। তাই এক্ষেত্রে অমিত শাহ হিন্দি বললেই আমরা তার বক্তব্য বুঝতে পারব। আমি তো মনে করি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি সংসদ সদস্যদের হিন্দি শেখা উচিত।’
বিজেপি নেতারা যতই ভিন্ন তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিক না কেন, অমিত শাহ যে পশ্চিমবঙ্গ দখলের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বাংলা শেখা শুরু করেছেন তা ইতিমধ্যে বলা শুরু করেছেন বিশ্লেষকরা।