চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পিইসি পরীক্ষায় পাস করলেও বন্ধুদের মুখে ফেলের কথা শুনে আত্মহত্যা করেছে রাজিব হোসেন (১২) নামে এক শিক্ষার্থী।মঙ্গলবার উপজেলার কাঁটাভাঙ্গা গ্রামের মাঠের একটি বাঁশবাগান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রাজিব হোসেন কাঁটাভাঙ্গা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী উদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে আলমডাঙ্গার উদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর আগে বেলা ১টার দিকে রাজিব হোসেন ফলাফল জানতে স্কুলে যায়।
সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে পারে সে ফেল করেছে। বিষয়টি শিক্ষকদের কাছে যাচাই না করেই বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যায় রাজিব। বেলা আড়াইটার দিকে স্কুলে ফল ঘোষণা হলে দেখা যায় রাজিব পাস করেছে। কিন্তু তখন তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
পরিবারের লোকজনও দুদিন ধরে খুঁজে হয়রান হয়ে যায়। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠের একটি বাঁশবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় রাজিবকে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।রাজিবের বাবা জামাল হোসেন জানান, রাজিব খুব অভিমানী ছিল। বন্ধুদের মুখে ফেল করার কথা শুনে সে আত্মহত্যা করেছে। তাছাড়া আমার বা আমার ছেলের কোনো শত্রু নেই।
উদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা মমতাজ জানান, রাজিব মধ্যম মানের ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সমাপনীর ফলাফল হাতে পাওয়ার পর আমরা দেখি রাজিব পাস করেছে। কিন্তু তার বন্ধুদের মুখে ফেলের কথা শুনে হয়তো সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আশিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সিম্পটম দেখে মনে হয়েছে রাজিব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাছাড়া পরিবারের পক্ষে কোনো অভিযোগ না থাকায় বুধবার রাতেই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।