Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে আরও ৩ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০২০, ১০:২৭ AM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০২০, ১০:২৭ AM

bdmorning Image Preview


ইরানের সঙ্গে চলা উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ৩ হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার এক দিন পর এই সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেনারেল নিহতের প্রতিশোধ নিতে ইরানের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হুমকি বাড়তে থাকায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। নতুন ৩ হাজার সেনা কুয়েতে অবস্থানরত ৭৫০ মার্কিন সেনা বহরে যোগ দেবে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশ দুটির মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু করে দিয়েছে ইরান। দেশটির পশ্চিম আকাশে যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পশ্চিম আকাশে যুদ্ধবিমানের মহড়া চলছে। যুদ্ধবিমান সতর্ক অবস্থানে থেকে পাহারা দিচ্ছে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ক্ষণিকের এ আনন্দ-উল্লাস শোকে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের প্রভাবশালী কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ইরাকের ইরানপন্থী মিলিশিয়া জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসও ওই হামলায় নিহত হন। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। জেনারেল সোলেইমানি এবং তার কুদস বাহিনী শত শত মার্কিনি এবং জোটের সদস্যের হতাহতের পেছনে দায়ী।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ছিলেন বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্সের প্রধান। বলা হচ্ছে, দেশের বাইরে ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় সোলাইমানি ছিলেন মূল ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণেও তার ভূমিকা ছিল।

Bootstrap Image Preview