সিলেটের মাটিতে অভিষেক হলো আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে হাসলো না তাঁর ব্যাট। ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ হয়ে গেল খুলনা। টানা দ্বিতীয় হার নিয়ে সিলেট পর্ব শেষ হলো মুশফিকদের।
সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে দিনের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স।প্রথমে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রামের ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েস।
সিলেটের ঝলমলে রোদের আলোয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা উজ্জল করতে পারেনি টাইগার্সের ওপেনাররা। হাশিম আমলা ও মেহেদী হাসান মিরাজ তিন ওভারের মধ্যেই বিদায় নিলে।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মুশফিকরা। উইকেটের এই চাপ কিছুটা সামলান মুশফিক ও রুশো। কিন্তু তাদের জুটি দীর্ঘ হতে দেয়নি চট্টগ্রামের বোলাররা।
ফর্মে থাকা বাঁ-হাতি পেসার মেহেদী হাসান রানার বোলিং তপে খুলনা শিবির ভেঙে পড়ে। বল হাতে ২৯ রান দিয়ে রানা ৩ উইকেট নিয়েছেন।
চরম এই ব্যাটিং ব্যর্থতাঁর মধ্যে রুশোর ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। এছাড়াও মুশফিক ২৯ রান করেন।
এই দুই ব্যাটসম্যানের রানে ভর করে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকরা।
ফর্মে থাকা চট্টগ্রামের সামনে ১২১ রানের লক্ষটা খুব বেশি বড় নয়। জয়ের লক্ষে ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ করলেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জুনায়েদ ও সিমন্স। তাদের জুটি থেকে আসে ৬৯ রান।
তাদের এই জুটি ভেঙে দেন আলিস। কিন্তু তাতে একটুও চাপে পড়ে না চট্টগ্রাম। চার উইকেট বিদায় নিলেও ক্যাপ্টেন ইমরুল হেসে খেলে ব্যাটিং করতে থাকেন। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ৬ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেন। ব্যাট হাতে ইমরুল করেন ৩০ রান।