Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৫৫ PM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ কয়েকটি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।

শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের সামনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী যুদ্ধবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার পর কয়েক ব্লক দূরে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে মিছিল নিয়ে যায়।

তারা “নো জাস্টিস, নো পিস; যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে যাও” বলে শ্লোগান দেয়।

এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক, শিকাগোসহ দেশটির অন্যান্য কয়েকটি শহরেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রতিবাদকারীরা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানি সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে প্রায় তিন হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান।

একজন নারীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী ‘কোড পিঙ্ক’ এর উদ্যোগে এসব বিক্ষোভ হয়। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বহু বড় ও ছোট শহরে এ ধরনের বিক্ষোভ আয়োজনের সূচী ছিল বলে জানিয়েছেন কোড পিঙ্কের সংগঠকরা।  

ওয়াশিংটনে প্রতিবাদকারীরা ‘ইরানের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা যুদ্ধ নয়’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরাক থেকে সরে যাও’ লেখা ফেস্টুন বহন করে।

ওয়াশিংটনের প্রতিবাদ সমাবেশে যারা ভাষণ দিয়েছেন তাদের মধ্যে অভিনেত্রী ও আন্দোলনকারী জেন ফন্ডাও ছিলেন। গত বছর জলবায়ূ পরিবর্তন বিরোধী এক সমাবেশের সময় ইউএস ক্যাপিটলের সিঁড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

৮২ বছর ফন্ডা বলেন, “এখানে উপস্থিত তরুণদের জানা উচিত, তোমাদের জন্মের পর থেকে যতগুলো যুদ্ধে লড়া হয়েছে সেগুলো হয়েছে তেলের জন্য। এই তেলের জন্য আমরা আর কোনো জীবন নষ্ট করতে, লোকজনকে হত্যা করতে ও পরিবেশের ক্ষতি করতে পারি না।”

মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় একই ধরনের এক সমাবেশে প্রতিবাদকারী স্টিভ লেন বলেন, “মিছিলে যোগ দিলে খুব বেশি কিছু করা হয় এমন না, কিন্তু অন্তত আমি বাইরে বের হয়ে বলতে পারি যে, আমি এই বিষয়গুলোর বিরোধিতা করছি। সম্ভবত যদি অনেক লোক একই কাজ করে, তখন তিনি (ট্রাম্প) শুনবেন।”

শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলেমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। নিহত এ জেনারেলকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তাকে হত্যার এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে ইরানের শত্রুতা চরম আকার ধারণ করেছে।

Bootstrap Image Preview