Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিএএ এর পক্ষে সমর্থন গড়তে বিজেপির ফোন নম্বর ফাঁদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪৭ PM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০২০, ০২:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


এই নম্বরে মিসড কল দিলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) পক্ষে সমর্থন নথিভুক্ত হবে। নম্বরটি উল্লেখ করে গত দুদিন ধরে এমন প্রচারণা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

নম্বরটি টুইটারে শেয়ার করে সিএএ আইনের পক্ষে সমর্থন করতে জনগণকে অনুরোধও জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কিন্তু এরপরেই দেখা গেছে, একাকিত্ব কাটাতে বন্ধু খুঁজতে, চাকরি খুঁজতে, বিনামূল্যে বিনোদন অ্যাপের সাবস্ক্রিপশন করতে অমিত শাহের দেয়া ওই নম্বরে ফোন করতে বলা হচ্ছে। এমনকি অবৈধ সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দিতেও ওই নম্বরকে ব্যবহারের প্রস্তাব আসছে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর আনন্দবাজারের

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সিএএ-এর পক্ষে বিপুল সমর্থন জোগাড় করতেই বিজেপি এই ন্যাক্কারজনক কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন আইনটির বিরোধীরা।

তাদের যুক্তি, চাকরি, বন্ধুত্ব, যৌনতার মতো অফার দিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ করছে নরেন্দ মোদির আইটি বিভাগ। যাতে এসবে আকর্ষিত হয়ে যে কেউ ওই নাম্বারে কল দিলে তা সিএএ-এর পক্ষে ভোট হিসেবে ধরে নেয়া হবে। অথচ গ্রাহক সম্পূর্ণ অন্য কারণেই ওই নম্বরে কল দিয়েছিল।

সিএএ বিরোধীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, নম্বরটি কেবলমাত্র সম্প্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীতে দেশবাসীর সমর্থন যাচাইয়ের জন্য দেয়া হয়েছে। এখানে অন্য কোনো অফার দেয়া হচ্ছে না। এই ধরনের অপপ্রচার কারা চালাচ্ছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

উল্টো এর পেছনে সিএএ বিরোধীদেরই হাত রয়েছে বলে দাবি করছে বিজেপি।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক জয় মল্লিক বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ওই নম্বর প্রকাশ করেছি। এমন অপপ্রচার সরকার কেন করতে যাবে?

তবে দলের কোনো কর্মী বা সমর্থক সিএএ-র পক্ষে জনমত সংগ্রহের জন্য এমন করে থাকলে দল দায় নেবে না বলে মত দেন জয় মল্লিক।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ এটা অবশ্যই মারাত্মক রকমের প্রতারণা। তদন্তসাপেক্ষে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য গত শুক্রবার সিএএ সমর্থন করলে মিসড কল দিতে অনুরোধ জানিয়ে নম্বরটি টুইটারে শেয়ার করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

কিন্তু শনিবার থেকেই দেখা যায়, ওই একই নম্বরের কথা উল্লেখ করে নানা রকম প্রস্তাব আসছে। একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে নারীদের ছবি দিয়ে ওই নম্বরে ‘বন্ধুত্বের’ প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। কিছু প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, ‘কেউ আমাকে ভালবাসতে চাইলে এই নম্বরে ফোন করুন।’

‘তুমি কি একা? আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে? ফোন করো এই নম্বরে।’ এমন পোস্ট দিয়ে নম্বরটি ছড়ানো হচ্ছে।

কোনো কোনো টুইটার হ্যান্ডলে ওই নম্বর লিখেই সরাসরি যৌনতার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সূত্র: আনন্দআজার

Bootstrap Image Preview