অস্ট্রেলিয়ার কাছে একের পর এক পরাজয়ের মধ্যেই রয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচে বড় পরাজয়ের পর সিডনি টেস্টেও রয়েছে বড় পরাজয়ের মুখে। কারণ, জয়ের জন্য ৪১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে কেন উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৪৫৪ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৫৬ রানে। মাত্র ২ রানের জন্য ফলোঅন করানোর সুযোগ ছিল না অসিদের। ১৯৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
এরপর মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। ফলে তাদের লিড দাঁড়ায় ৪১৫ রানের। ৪১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এখন তথৈবচ অবস্থা কিউইদের।
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কোনো উইকেট না হারিয়েই তারা সংগ্রহ করে ৪০ রান। ওয়ার্নার ছিলেন ২৩ রানে এবং জো বার্নস ছিলেন ১৬ রানে অপরাজিত। চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার এবং বার্নস মিলে গড়ে তোলেন ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি।
৭৯ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে যান জো বার্নস। এরপর মাঠে নামেন মার্নাস লাবুশানে। ওয়ার্নারের সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন ১১০ রানের জুটি। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে ২৪তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান ওয়ার্নার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।
তবে দলীয় ২১৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৯ রানে মার্নাস লাবুশানে আউট হয়ে গেলে ইনিংস ঘোষণা করে দেন টিম পেইন। ১৫৯ বলে ১১১ রানে অপরাজিত থেকে যান ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাট হেনরি এবং টড অ্যাসল নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই অসি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৪ রানের মাথায় টম ল্যাথাম এবং টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক। এরপর নিউজিল্যান্ডকে ২২ রানের মাথায় বসিয়ে আরও দুই উইকেট তুলে নেন নাথান লায়ন এবং প্যাট কামিন্স।
গ্লেন ফিলিপস মাঠে নেমে ৪ বল মোকাবেলা করে কোনো রান না করেই ফিরে যান লায়নের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। ৩৮ রানে পড়ে ৫ম উইকেট। জয়ের জন্য এখনও নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৭৮। হাতে আছে কেবল ৫ উইকেট।