গত ২ থেকে ৪ জানুয়ারি ছিল সিলেট পর্ব। কাজেই গতকাল (৫ জানুয়ারি) ছিল আসলে দলগুলোর সিলেট থেকে রাজধানীতে ফেরার দিন। আগের দিন ম্যাচ খেলা চার দল ৫ জানুয়ারি বিশ্রামেই কাটিয়েছে। সোমবার আবার প্র্যাকটিসে নেমেছিল বিপিএলের দলগুলো।
সকাল থেকেই তাই সরব ছিলো শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পাশের একাডেমি মাঠ। আজ মঙ্গলবার আবার শেরে বাংলায় গড়াচ্ছে বিপিএলের শেষ অংশ। দুপুরে মুখোমুখি হবে এরই মধ্যে বিদায় নেয়া সিলেট থান্ডার্স আর এখনও সেরা চারে থাকার স্বপ্ন বুকে থাকা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার ম্যাচে দেখা হবে শীর্ষে থাকা দুই দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের। এই চার দলের মধ্যে সিলেট ছাড়া বাকি তিন দল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালস আজ নিবিড় অনুশীলনে কাটালো। এই তিন দলের সাথে আরও রংপুর রেঞ্জার্সও সিরিয়াস প্র্যাকটিস করলো।
শেরে বাংলা একাডেমি মাঠে একই সময় অনুশীলন করলো সুপার ফোরের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখা রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। পূর্ব দিকে কুমিল্লা আর পশ্চিম পার্শ্বে রংপুর ক্রিকেটাররা অনেকটা সময় ধরে ঘাম ঝরালেন। দুই দলের ক্রিকেটারদের মাঝেই বাড়তি কিছু করার তাড়া।
কিন্তু প্রশ্ন হলো রংপুর আর কুমিল্লার কি আসলে কোন সম্ভাবনা আছে? বাস্তব সম্ভাবনা আসলে কতটা?- সেটা মাঠেই বোঝা যাবে। তবে গাণিতিক হিসেবনিকেশ বা কাগজে কলমের হিসেবে এখনও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স আর রংপুর রেঞ্জার্সের সম্ভাবনা ফুরিয়ে যায়নি। সেটা অনেক ‘যদি-তবে’র ওপর নির্ভর করে।
সবার জানা সমান ১০ খেলায় ৭টি করে ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে সবার ওপরে রাজশাহী আর চট্টগ্রাম। ঠিক তার পর পরই ৯ খেলায় ৬ ম্যাচ জেতা ঢাকা প্লাটুন ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে। আর তার পরপরই ৯ খেলায় ৫ বার জয়ের মুখ দেখা খুলনা টাইগার্সের পয়েন্ট ১০।
এছাড়া কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ৯ খেলায় ৮ আর আর রংপুর রেঞ্জার্সের ১০ খেলায় ৮। অর্থাৎ ঢাকা ও খুলনার পাশাপাশি সেরা চারে নাম লেখানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে কুমিল্লা-রংপুরেররও। তারপরও রংপুরের জন্য হিসেবটা কঠিন। তাদের আছে দুই ম্যাচ, দুটিই মাশরাফি-তামিমদের শক্তিশালী ঢাকার বিপক্ষে। ঐ দুই ম্যাচের দুটিতেই জিততে হবে।
তারপরও থাকবে নানা হিসেব নিকেশ। বিশেষ করে রান রেটের হিসেবটাও থাকবে। কারণ রংপুরের নেট রানরেটও বেশ খারাপ (-০.৭৪৬)। তবে দলটির কোচ মার্ক ও'ডোনেল আর অজি তারকা শেন ওয়াটসন আজ অনুশীলনে অনেক ছুটোছুটি করলেন, এর ওর সাথে কথা বললেন, শলাপরমর্শ করলেন। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছিলো, বাড়তি কিছু করতে মরিয়া রংপুর।
সে তুলনায় কুমিল্লা রয়্যালসের সুযোগ আছে। কুমিল্লার খেলা বাকি আছে সিলেট থান্ডার্স ও খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। তিন ম্যাচ জিতে গেলে তো কথাই নেই, দুই ম্যাচ নিজেদের করতে পারলেও কুমিল্লার সম্ভাবনা থাকবে। সবার নিচে থাকা সিলেটের সঙ্গে ম্যাচ থেকে তাই পূর্ণ পয়েন্ট নিতে মুখিয়ে কুমিল্লা।
দলটির টিম ডিরেক্টর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ নিজে নেট পর্যবেক্ষণ করলেন অনেকক্ষণ ধরে। বিসিবি একাডেমি মাঠে কুমিল্লার প্র্যাকটিসের প্রায় পুরো সময় নান্নু নেটে ব্যাটিং ও বোলিং দেখার পাশাপাশি কোচ ওটিস গিবসন আর অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ নাসুর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই শলাপরামর্শ করলেন। বোঝাই গেল লাইন আপ, টিম কম্বিনেশন আর গেম প্ল্যান নিয়েই কথা বলছিলেন তারা।