টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় এবারের বিপিএল বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। নির্বাচকদের বিবেচনায় আসার লক্ষ্যে নিজেদের পারফরম্যান্সে জোর দিচ্ছেন দেশি পেসাররা। মোস্তাফিজ-রুবেলদের পাশাপাশি মেহেদী হাসান রানা কিংবা হাসান মাহমুদরাও আলো ছড়িয়েছেন এবারের আসরে।
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। নীতি নির্ধারকরা যে খাতা-কলম নিয়ে বসছেন ম্যাচ দেখতে, তা হয়তো বোঝেন ক্রিকেটাররাও। বিপিএলকে তাই প্রমাণের মঞ্চ হিসেবেই দেখছেন দেশি বোলাররা।
সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে- মোস্তাফিজুর রহমানের ছন্দে ফেরা। ১০ ম্যাচে ৬.৭৬ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষ উইকেট শিকারির তালিকায় দুইয়ে আছেন কাটার মাস্টার। তার দল রংপুর রেঞ্জার্সের প্লে অফের সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও, ফিজের বোলিংয়ে আশাবাদীই হবার কথা সংশ্লিষ্টদের।
ইকোনমিটা মোস্তাফিজের চেয়ে বেশি রুবেল হোসেনের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে তার ইকোনমি ৭.২৪। উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। প্লে অফের রেসেও ভালোভাবেই এগিয়ে রুবেলের দল।
আরেক পেসার আল-আমিনের দখলে ১০ উইকেট। তবে, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের এই বোলারের ইকোনমি ৯.৫০।
অভিজ্ঞদের পাশাপাশি ভালো করছে অন্যরাও। সিলেট থান্ডারের হয়ে ১১ ম্যাচে ৭.৩৮ ইকোনমিতে ১৩ উইকেট এবাদত হোসেনের। এছাড়া, ব্যাট হাতে প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে না পারলেও, ৮.৯৭ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছেন কুমিল্লার হয়ে খেলা সৌম্য সরকার।
বল হাতে অসাধারণ এক মৌসুম কাটাচ্ছেন মেহেদী হাসান রানা। ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে আছেন তালিকার শীর্ষে। উড়তে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই পেসারের ইকোনমি ৬.৯৬।
আলোচিত হয়েছেন ঢাকা প্লাটুনের হাসান মাহমুদও। ৮.৯৩ ইকোনমিতে ৯ উইকেট এই পেসারের। কিন্তু, এই পরিংখ্যান ছাপিয়ে গতি আর ধারাবাহিকভাবে ইয়োর্কার ডেলিভারি দেয়ার পারদর্শিতার কারণেই আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন তিনি।