ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় আমেরিকার বিরুদ্ধে 'বড় ধরনের প্রতিশোধ' নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। তবে কোথায় এ প্রতিশোধ নেয়া হবে, ইরান কি পাল্টা সামরিক হামলা চালাবে, নাকি সাইবার আক্রমণ হবে- তা নিয়ে সারা বিশ্বের সামরিক-কৌশল বিশেষজ্ঞরা নানা রকম বিশ্লেষণ দিচ্ছেন।
ইরানের এই প্রতিশোধ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। এ আক্রমণ কি সামরিক হবে না সাইবার আক্রমণ হবে, মধ্যপ্রাচ্যে হবে না উত্তর আফ্রিকায় হবে, নানা জল্পনা চলছে।
প্রতিশোধের অংশ হিসেবে হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ইরান।শনিবার (৪ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মন্তব্যের ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিনিদের একটুও ছাড় দেবে না ইরান।আর আমেরিকার ওপর প্রতিশোধ নিতে ইরান যে সব জায়গায় হামলা চালাতে পারে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হরমুজ প্রণালি।
এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। এই সমুদ্রপথের ওপর ইরানের নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বেশি। তারা নিশ্চয় এই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করবে।
এ দিকে ইরান যদি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম সমুদ্রপথ হরমুজ প্রণালিতে হামলা চালায়, তবে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তেল সরবরাহ ও বিশ্ব বাজারে।
উল্লেখ্য, ইরানিরা পরিশীলিত জাতি, আমেরিকানদের মতো অমার্জিত ও পাশবিক নয়। ইরানিরা রাজনীতি করে দাবা খেলোয়াড়ের মতো। তারা হিসেব করে, অনেক চিন্তা ভাবনা করে এমন কিছু করবে যাতে আমেরিকানরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ করে।
তবে ইরান সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকায় তাদের সামরিক সংঘাতে যাবার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।