Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

হঠাৎ ‘জিও’তে স্বাক্ষর ক্রিকেটারদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ১১:১৪ AM
আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০২০, ১১:১৪ AM

bdmorning Image Preview


পাকিস্তান সফর নিয়ে কি হঠাৎ ইউটার্ন নিতে যাচ্ছে বিসিবি? তাই যদি না হবে, তাহলে ক্রিকেটারদের হঠাৎ ‘জিও’তে সই করানো হবে কেন? গুঞ্জন নয়, খোদ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে জানা তথ্য এটা।

পাকিস্তান সফর বাতিল এবং ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশে আনার খবর প্রকাশের পর টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক এর সাথে আলাপে জানান, ‘ভাই ঘটনা কি? শুনছি পাকিস্তান ট্যুর বাতিল! আবার আমাদের কাউকে কাউক ‘জিও’তে সাইন করানো হচ্ছে। আমার কাছে জিও পাঠানো হয়েছিল। আমি সই করে দিয়েছি।’

শুধু মুমিনুল নন। জানা গেছে তামিম ইকবালসহ আর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই ‘জিও’ পেপারে সাক্ষর করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না জিও হচ্ছে গভর্নমেন্ট অর্ডার বা সরকারি আদেশ। জানা গেছে, মুশফিকুর রহীম জিও’তে সাক্ষর করেনি।

জাতীয় দলের সফরের আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটা নির্দেশিকা। তা যে কোন সফরে যাওয়ার আগে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের নামেই করা হয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আগেও হতো। এখনো হয়। আগামীতেও চলমান থাকবে।

ধরে নেয়া যায়, পাকিস্তান সফর না হলেও যেহেতু সফর হওয়ার কথা ছিল, তাতে সরকারের অনুমতিপত্র আগেভাগে তৈরি করে রাখতে হয়। তাই ‘জিও’তে সব ক্রিকেটারের সাক্ষর রাখা হচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। বিসিবি বারবার বলছে কোনোভাবেই টেস্ট সিরিজ খেলতে নয়, শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হলে আমরা যেতে রাজি। এখন সেই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে তো আর মুমিনুল হক নেই। তাহলে তার জিও’তে সই করা কেন?

ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অধিনায়কত্ব করা মুমিনুল হক ‘গভর্নমেন্ট অর্ডারে’ সই করার অর্থ টেস্ট দলের ক্রিকেটারদেরও সরকারের অনুমতি পত্রে সই করানো হচ্ছে।

বিভ্রান্তির জায়গা সেটাই। তবে কি শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ নয়, টেস্ট খেলতেও পাকিস্তান যেতে রাজি হবে বিসিবি? আর তা না হলে টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হকের ‘জিও’তে সাক্ষর করার প্রশ্ন আসছে কেন?

এদিকে আজ বিকেল গড়াতেই শেরে বাংলায় চাউর হয়ে গেল সিঙ্গাপুরে এসিসির সভা শেষে আজ মঙ্গলবার দেশে ফেরত আসা বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন পড়ন্ত বিকেল না হয় সন্ধ্যায় বিসিবিতে আসবেন এবং ক্রিকেটারদের সাথে শেষ বারের মত বসবেন, কথা বলবেন। এবং তাদের চূড়ান্ত মতামত নেবেন।

এতকাল জানা ছিল পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবির অবস্থান খুব পরিষ্কার। বিসিবি কেবলমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতেই পাকিস্তান যেতে চায়। সাথে টেস্ট সিরিজ খেলতে নয়। এর বাইরে ক্রিকেটারদেরও পাকিস্তান যেতে বাধ্য করা হবে না। যার ইচ্ছে যাবে। যে বা যারা যেতে চাইবে না, তাদের কোন জোর করা হবে না। মোটকথা, বিসিবি কোন ক্রিকেটারকেই জোর করে পাকিস্তান পাঠাবে না।

এসব পুরনো খবর। এর পরের খবর ছিল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্রিকেটারই টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মানে বেশি সময়ের জন্য পাকিস্তান যেতে চায় না।

তবে ভিতরের খবর হলো এবং জাগো নিউজের পাঠকদের জানা, শুধু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সপ্তাহ খানেকের জন্য পাকিস্তান যেতে আপত্তি নেই বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই। কিন্তু কেউই বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অনাগ্রহী ছিলেন।

এদিকে সময় ঘনিয়ে আসছে। দেখতে দেখতে বিপিএলও শেষের পথে। আগামী ১৭ জানুয়ারি শেষ হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। পাকিস্তান সফর হলে দল কবে যাবে? সে দিন-তারিখও কিন্তু আগে থেকে ঠিক করা। খেলা হলে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল টাইগারদের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর দুই ম্যাচের টেস্টের সিরিজ মিলে অন্তত ২৫ দিনের ওই সফর মধ্য ফেব্রুয়ারি গড়িয়ে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা।

ওদিকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত জাতীয় দলের পাকিস্তানে অবস্থান করা নিয়েও আছে সংশয়। কারণ মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এশিয়া একাদশ আর অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের দুটি ম্যাচ আয়োজনের সময় নির্ধারিত হয়ে আছে।

যার সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন অনেক আন্তর্জাতিক নামি-দামি ক্রিকেটার। এখন মার্চে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ হলে ওই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে সমস্যা হতে পারে। তাই জিম্বাবুয়েকে মার্চের বদলে ফেব্রুয়ারিতে আনার চিন্তা ভাবনা চলছে।

এখন যদি তাই হয়, মানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ যদি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে পাকিস্তানে টেস্ট খেলা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাহলে ক্রিকেটারদের ‘জিও’তে সই করানো কেন? তবে কি ভিতরে ভিতরে টেস্ট খেলতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনাও চলছে?

Bootstrap Image Preview