সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৫ নারীসহ ১৩২ জন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের দুটি বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন। এ নিয়ে গত সাত দিনে ৪০ নারীসহ ৭৬৭ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।
দেশে ফেরত আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, আকামা তৈরির জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকা প্রদান করলেও কফিল আকামা তৈরি করে দেয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও দায়িত্ব নিচ্ছে না। বরং কফিল প্রশাসনকে বলেছেন, ক্রুশ (ভিসা বাতিল) দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিতে।
দেশে ফেরত আসা এক নারী কর্মী জানান, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফ হোমে। একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে একসঙ্গে দেশে ফিরেছেন যশোর জেলার খাদিজা বেগম, নারায়ণগঞ্জের সেফালী বেগম, ঝিনাইদহের শিল্পি খাতুন ও ঢাকার সুবর্ণা বেগম।
ফেরা রাজবাড়ী জেলার রউছ শেখ জানান, মাত্র এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কর্মস্থল থেকে রুমে ফেরার পথে পুলিশ আটক করে। পুলিশের কাছে আকামা দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এমনকি নিয়োগকর্তাও দায়িত্ব না নেয়ায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
রউছ শেখের সাথে দেশে ফিরেছেন নোয়াখালীর ফারুক, কুমিল্লার সাইফুল, চট্টগ্রামের তাসলিম আরিফ, পাবনার জুয়েল শেখসহ আরও ১৩২ বাংলাদেশি।